রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ২০:২১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিলাইছড়িতে পালিয়ে যাওয়ার সময় খুনের মামলার আসামী গ্রেফতার 

বিলাইছড়িতে পালিয়ে যাওয়ার সময় খুনের মামলার আসামী গ্রেফতার 

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে জি-আর মামলার এজাহার নামীয় ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে বিলাইছড়ি থানা পুলিশ । 

বিলাইছড়ি থানা সূত্রে জানা যায়,  রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক ৩টার সময় বিলাইছড়ি থানার এসআই (নিঃ) ফাওার মিয়া এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি টিম অভিযান পরিচালনা কালে রাঙামাটি সদর এবং কাপ্তাই থানা এলাকার সীমান্তবর্তী জীবতলী নামক জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উল্লেখিত এজাহার নামীয় আসামীকে স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক সহযোগীতায় বিলাইছড়ি থানা পুলিশ কতৃক গ্রেফতার করা হয়। বিলাইছড়ি থানায় যার মামলা নং-০১, তাং ০১/০৯/২০২২ ইং ধারাঃ-৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০। 

গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম শান্তি জীবন চাকমা (২৯), পিতাঃ মৃত বিজিন্দ্র চাকমা। সে বিলাইছড়ি উপজেলার ২নং কেংড়াছড়ি  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বাঙ্গালকাটা গ্রামের বাসিন্দা। 

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এম,সি করানোর পর বর্তমানে বিলাইছড়ি থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আসামীকে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৭টায় রাঙামাটি জেলা বিজ্ঞ আদালতের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হবে বলে জানা যায়।

বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর আসামি শান্তি জীবন চাকমাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট  বিলাইছড়ি উপজেলাধীন কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের পরিহলা মৌন পাড়া থেকে ইলিনা চাকমা (১৭) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়। পরিবারের দাবি শান্তি জীবন চাকমা তাদের মেয়েকে হত্যা করেছে। কারণ ছেলেটার সাথে মেয়েটার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে কিশোরীটি পালিয়েও যায়, কিন্তু বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়াতেই আপাতত আংটি পরিয়ে নিজ বাড়িতে রাখা হয় ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেবে বলে। এরই মধ্যে ছেলেটা মেয়েটিকে সন্দেহ চোখে দেখতে শুরু করে এবং বিভিন্ন ঝামেলা হওয়াতে মনোমালিন্য হয় এবং মেয়েটা বিয়ে করতে নারাজ হয়। ছেলেটা তখন হুমকি দেয় তোমাকে দেখে নেবো। এই অবস্থায় ৩০ আগস্ট মেয়েটি প্রতিদিনের ন্যায় নিজস্ব গরু চড়াতে গেলে, সময় মতো ফিরে না আসায় কল দিলে কল রিসিভ না হওয়াতে অনেক খুঁজাখুঁজির পর মাথায় আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে ছেলেটা পলাতক ছিল।

জানা যায়, ছেলেটা এর আগেও বিবাহিত ছিলো। কিন্তু প্রায় সময়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করাতে সামাজিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করানো হয়।