রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

​​​​​​​বাঘাইছড়িতে দীর্ঘদিনের সীমানা বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসিত রুমান্টু চাকমা

​​​​​​​বাঘাইছড়িতে দীর্ঘদিনের সীমানা বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসিত রুমান্টু চাকমা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়ন ও লংগদু উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাপাকুইজ্জ্যা এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি শতাধিক পরিবারের জমি নিয়ে সীমানা জটিলতা দূর করে উভয় সম্প্রদায়ের বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক মেম্বার রুমান্টু চাকমা।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় স্থানীয় প্রশাসন ও লংগদু জোনের সেনাবাহিনীর সহায়তায় দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয় রুমান্টু চাকমা। তার উদ্যোগের ফলেই সকলের সহযোগীতায় পাহাড়ি ও বাঙালি সীমানার মধ্যে একটি বাঁধ কেটে নালা তৈরি করে পানি সরানোর কাজ শুরু করা হয়। ফলে পানি সরে গিয়ে শত শত একর জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠে।

এই বিষয়টি নিয়ে বহু বছর ধরে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। ফলে বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ও খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও লংগদু উপজেলার কালাপাকুইজ্জা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ বহুবার মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়। ফলে কিছু ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় যুবক সাবেক মেম্বার রুমান্টু চাকমার শরণাপন্ন হয়। পরে রুমান্টু চাকমা স্থানীয়দের দাবির কথা লংগদু জোনের স্থানীয় ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করে জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াজ ও মেজর আসিফ এর উপস্থিতিতে দ্রুত সমাধান করা হয়। এতে উত্তর পাবলাখালী, দক্ষিণ পাবলা খালী, মান্যারাম পাড়া, গুল্যাপাড়া এবং ইসলামাবাদ এলাকার ১০০০ পরিবারে শত শত একর জমি চাষাবাদ উপযোগী হয়ে উঠে। বিরোধ মিটিয়ে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভূমিকা রাখায় সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছেন সাবেক মেম্বার রুমান্টু চাকমা।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ