রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রাজস্থলীর হাট-বাজারে ঘুরে করোনার গণটিকা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

রাজস্থলীর হাট-বাজারে ঘুরে করোনার গণটিকা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ
ছবি: সংগৃহীত

কোন আইডি কার্ড লাগছে না, লাগছে না কোন মোবাইল নম্বরও। খালি হাতে এসেই যে কেউ নিতে পারছেন করোনার টিকা। গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাঙামাটির রাজস্থলী বাজারে এমন ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

মাইকে টিকা কার্যক্রমের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে ভিড় জমান এতদিনেও টিকা না নেওয়া, সিএনজি চালক, রিক্সা চালক, ট্রাক চালক বাজারে আসা বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দুর্গম পাহাড় থেকে আসা নারী পুরুষ সহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষ। ব্যাপক উৎসাহে তাদেরকে টিকা নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে রাজস্থলী হাট-বাজারে এই টিকা কাযক্রম পরিচালনা করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা সহ তার স্বাস্থ্য কর্মীরা। তার নির্দেশনায় উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা গ্রহীতাদের করোনার টিকা প্রদান করছেন। এছাড়া ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক তাদেরকে সহযোগিতা করছেন।

এখানে টিকা নিয়ে অত্যন্ত খুশি এক ৪৫ বয়সের নারী বলেন, দীর্ঘদিন আমি টিকা নিতে পারিনি। টিকা কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন থাকে। এছাড়া রেজিষ্ট্রেশন, আইডি কার্ডসহ নানান কিছু লাগে। জটিলতার কারণে এতদিন টিকা নিতে পারছিলাম না। আজকে এখানে দেখি মাইকিং করে টিকা নিতে কোন কাগজপত্রই লাগছে না। তাই দেরি না করে টিকা নিয়ে ফেলেছি।

একইভাবে টিকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন অপর এক ভ্যান চালক মোঃ রাসেদুল আলম। তিনিও একই কথা বলেন। কোন জটিলতা না থাকায় তিনি দ্রুত টিকা দিতে পেরেছেন জানিয়ে এ ধরণের উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে এভাবে টিকা পেয়ে আরো অসংখ্য মানুষকে টিকার জন্য ভিড় জমাতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা বলেন, আমরা পথে পথে ঘুরে সবাইকে টিকা দিচ্ছি। এর কারণে কেউই যেন টিকা থেকে বঞ্চিত না হন। যারা নানান কারণে টিকা নিতে পারেননি সবাই যেন টিকার আওতায় আসে সেজন্য এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, এভাবে সাড়া পাব ভাবতে পারিনি। মাইকে ঘোষণা দেওয়ার পর ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই এখানে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমে যায়। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের টিকা থাকবে ততক্ষণ টিকাদান অব্যাহত থাকবে। আর ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরো বড় পরিসরে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত বিষয়: