রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বাঙ্গালহালিয়ায় মহামারী আকার ধারণ করেছে ফ্রি ফায়ার গেম

বাঙ্গালহালিয়ায় মহামারী আকার ধারণ করেছে ফ্রি ফায়ার গেম

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দিন দিন অমনোযোগী হয়ে পড়ছে লেখাপড়া থেকে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছে ইন্টারনেট ফাইটিং গেম ফ্রি ফায়ার নামক গেইমে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ যেন এক নেশায় আসক্তর মত জড়িয়ে গেছে।

সম্প্রতি ব্লু হোয়েল গেমসের আতংক কেটে যাওয়ার কিছুদিন পরেই নতুন জালে আটকে যাচ্ছে নবাগত উড়তি বয়সী শিক্ষার্থীরা ও পুরো যুব সমাজ। যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখা সহ শিক্ষা পাঠ গ্রহন নিয়ে ও খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে, সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে জড়িয়ে পড়েছে ফ্রি ফায়ার নামক গেমের নেশায়।

এ ব্যাপারে একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাচউ মারমা বলেন, আমাদের সময় আমরা অবসর সময়টি বিভিন্ন খেলা ধুলার মধ্য দিয়ে পার করতাম, কিন্তু এখনকার যুগে প্রজন্ম সন্তানদেরকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রুপ গেম মহামারী আকার ধারন করেছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস, কখনো ইন্টারনেটের খারাপ সাইটে বিভিন্ন ছবি দেখছে। ফলে তারা নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে তাদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তাই কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে এবং প্রতিটি সন্তানকে একটু যত্ন সহকারে খেয়াল রাখার দায়িত্ব বা কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি।

ফ্রি ফায়ার নামক গেমকে মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করে স্থানীয় কয়েকজন প্রবীন সমাজ সেবক মহিলা বলেন, এই সমস্যা থেকে আমাদের সন্তান, ভাই-বোনদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ফায়ার গেমসে অনুরাগী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করি, তখন তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে নারাজ ও এ গেমস  বিষয়ে এরিয়ে চলে যায়।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়