রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৭ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৬:৫৬, ২৭ এপ্রিল ২০২২

শহীদ এম আবদুল আলীর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

শহীদ এম আবদুল আলীর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শহীদ এম আবদুল আলীর আজ শাহাদাৎ বার্ষিকী।

১৯৭১ সালে তিনি রাঙামাটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর প্রাক্কালে পার্বত্য জেলায় আন্দোলনকারীদের তিনি নানাভাবে সহযোগিতা করেন। ২৫শে মার্চের পর তিনি স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও তিনি যাননি। ১৬ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে এসে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এম, আবদুল আলী। তার উপর শুরু করে অমানুষিক নির্যাতন। তার আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়, সারা শরীরে সিগারেটের ছেঁকা দেয়া হয়। তবুও পাহাড়ের মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনিক ব্যক্তিগণ কোথায় আছেন তা স্বীকার করেননি। পিপাসায় কাতরালে মুখের ভিতর ইট ঢুকিয়ে হা করে তাতে প্রস্রাব করে দিত হায়েনারা। জিপের পিছনে রশি দিয়ে বেঁধে শহরে ছেঁচড়ানো হয়েছিল তাঁকে। জীবন দিয়েছেন তবুও মুখ খোলেননি। ১২ দিন অত্যাচার ও নির্যাতনের পর ২৭ এপ্রিল তাঁর নিথর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ বস্তাবন্দি করে কাপ্তাই হ্রদে ফেলে দেয়া হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য ও অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে সরকার শহীদ এম, আবদুল আলীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। আর এটি তিন পার্বত্য জেলায় প্রথম রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক অর্জন। 

শহীদ এম আবদুল আলীর শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শহীদ, এম আবদুল আলীর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও শহীদ আবদুল আলী একাডেমির পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে স্কুলের শিক্ষকগণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালোক্টরেট জামে মসজিদে এবং শহীদ আবদুল আলী একাডেমির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।