রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাঙামাটিতে সাড়ে ৫ ঘন্টায় হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার করলো পুলিশ

রাঙামাটিতে সাড়ে ৫ ঘন্টায় হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার করলো পুলিশ

রাঙামাটি শহরের ফরেস্ট কলোনি এলাকায় ছুরিকাঘাতে ইজাজুল হক রাব্বি (৩৫) হত্যাকান্ডের আসামীকে ঘটনার সাড়ে ৫ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে কতোয়ালী থানা পুলিশ।

শনিবার বিকালে রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এই তথ্য জানান রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।

গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম সেলিম মাহমুদ (৩৪)। সে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার চরমধুয়া ইউনিয়নের মো. মাহমুদ এর ছেলে। সেলিম মাহমুদ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে।

পুলিশ সুপার জানান, ‘হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মারা যাওয়া ইজাজুল হক রাব্বি(৩৫)র পরিচয় নিশ্চিত হয়। তার পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে, ঘটনাস্থলের আসপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে ঘটনার সাথে জড়িত সেলিম মাহমুদ(৩৫) ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয় নিশ্চিত হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের বনরুপা থেকে আসামী সেলিম মাহমুদকে গ্রেফতার করে। প্রাথমকি জিজ্ঞাসাবাদে আসামির তথ্যমতে রাব্বি ও সেলিম দুইজনই পূর্ব পরিচিত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। রাব্বি থেকে সেলিম টাকা পেত সে নিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফরেস্ট কলোনি এলাকায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেলিমকে নিহত রাব্বি মারধর করে। সেলিম তার কর্মস্থল ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টের তিনতলা চলে যায়।’

পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাব্বি আবার আসামি সেলিমকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং ভোর পাঁচটার দিকে রাব্বিকে সেলিম তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেখানে রাব্বি মারা যায়। ঘটনার সময় দেখে ফেলায় পাশে থাকা নৈশ প্রহরী মো. আমির হোসেন (৩৫) তাকেও ছুরিকাঘাত করে আসামি। নৈশ প্রহরী মো. আমির হোসেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাব্বি ২০২১ সালের একটি মাদক মামলার আসামি। পুরোনো কোন শত্রুতার কারণে নাকি মাদকের টাকার বিষয়ে না অন্য কোন বিষয়ে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে রাব্বির মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামীকে রবিবার আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।

পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরো জানান, ‘রাঙামাটি শহরকে সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় আনার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে শহরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও শহরের কোন কিশোর গ্যাং গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।’

সাংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, কতোয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ আরিফুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে রাঙামাটি শহরের ফরেস্ট কলোনী এলাকা থেকে ইজারুল হক রাব্বি’র মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। সে শহরের কাটাপাহাড় এলাকার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে।