রাজনীতিতে পরাজিত সৈনিক ড. কামাল, যেতে চাচ্ছেন অবসরে
ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
গণফোরাম সভাপতি ও কাগজ-কলমেই শুধু দৃশ্যমান জোট ঐক্যফ্রন্টের মূল সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেন। রাজনীতির নানা চড়াই-উৎরাইয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে মনোক্ষুণ্ন এই নেতা এবার অবসরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
ড. কামালের মতে, বয়সের কারণে তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চাচ্ছেন। তবে গোপন সূত্র বলছে, হতাশা ও ব্যর্থতার কারণে রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. কামাল।
এদিকে একাধিক গোপন সূত্র বলছে, অনেক আশা নিয়ে গণফোরাম গঠন করেছিলেন ড. কামাল। তবে দীর্ঘ সময়েও রাজনীতিতে অবস্থান গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় তার দল। পরবর্তীতে বিএনপির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে ২০১৮ সালে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন ড. কামাল। কিন্তু সেই আশাতেও গুড়েবালি। চাওয়া অনুযায়ী জনগণের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট। তাই রাজনীতিতে নিজেকে ‘ডিফিটেড সোলজার’ তথা পরাজিত সৈনিক ভেবে সরে দাঁড়াতে চান বর্ষীয়ান এই বিতর্কিত নেতা।
সর্বশেষ ঐক্যফ্রন্টের ফাটল, অনুগতদের বিদ্রোহ ও বিএনপির তরফ থেকে দুয়ো শোনার কারণে মনোক্ষুণ্ণ হয়েই রাজনীতি ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তিনি। কারণ ড. কামাল মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবদান রাখার আর সুযোগ নেই। এরই মধ্যে তার প্রতিটি ফর্মুলাই মার খেয়েছে।
অবশ্য গণফোরামের ঘনিষ্ঠ একটি গোপন সূত্র বলছে, দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে খেই হারিয়ে ফেলেছেন ড. কামাল। তার অদক্ষ ও বিতর্কিত নেতৃত্বের কারণে গণফোরামে ফাটল ধরে এবং বিভক্ত হয়ে পড়ে। আর যাদের আর্থিক সহায়তা ও সমর্থনে তিনি রাজনীতি করতেন, তারাও ড. কামালের ক্রমাগত ব্যর্থতায় হতাশ হয়েছেন। তাই মূলত তাদের পরামর্শেই সম্মান রক্ষার্থে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. কামাল।
আলোকিত রাঙামাটি