রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ , ২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৩০, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে কিন্তু ধর্মের  জন্য কোনো কাজ করে না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ২০২১ ও করোনা সচেতনতা আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সভায় সভাপতিত্ব করেন। 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে, কিন্তু ধর্মের জন্য কোনো কাজ তারা করেনি। বরং তারা ধর্মীয় হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে না। আমরা ইসলামের জন্য, আলেম- ওলামাদের খেদমতের জন্য কাজ করি। এছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার যেন সুনিশ্চিত হয়, তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন কেউ খর্ব করতে না পারে, সেজন্য কাজ করে আওয়ামী লীগ। তাদের ধর্মের কল্যাণের জন্যও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাজ করা হয়।

ড. হাছান বলেন, দেশের আলেম সমাজের শতবর্ষের পুরনো দাবি ছিল একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান আমলেও এই দাবি পূরণ হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, 'জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, এরশাদ সাহেব কেউই কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দেননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সব অপপ্রচার ঘুচিয়ে তাদেরকে চাকরিও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বহু জেলা ও উপজেলায় মসজিদ নির্মিত হয়েছে, উদ্বোধনও হয়েছে। ১৩ বছর আগে সরকার গঠনের পূর্বে বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি মসজিদভিত্তিক মক্তব ছিল। আর আলেমরা ভাতা পেতো পাঁচশ’ টাকা। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রায় ২ লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতি মক্তবে একজন আলেম ৫২০০ টাকা করে ভাতা পান। এটি কেউ কখনো ভাবেনি।

বিএনপি-জামাত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, তারা এই কাজগুলো করেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ধর্মবিরোধী শ্লোগান ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে ভোটগুলো নিজের বাক্সে নেয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। যারা নিজের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আহমদুল্লাহ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিরা দেশব্যাপী ক্বিরাত প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের সুর’ এ নারায়ণগঞ্জ জেলার সেরা প্রতিযোগীদের ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সমাজসেবী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন।