রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৬ জুলাই ২০২২

১৬ জুলাই কলঙ্কময় দিন: মাহবুবউল আলম হানিফ

১৬ জুলাই কলঙ্কময় দিন: মাহবুবউল আলম হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি- ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, দেশের ইতিহাসে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই কলঙ্কময় দিন। সেদিন ভিত্তিহীন দুর্নীতি মামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সাজানো মামলায় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা কতটা হাস্যকর ছিল তা আজ প্রমাণিত।

শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ২০০১ সালের নির্বাচনের সঙ্গে তাকে গ্রেফতারের যোগসূত্র রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্যাস রফতানির প্রস্তাব দেন। তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দেশে গ্যাস ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকলে রফতানি করবো।’ এরপর থেকে আমাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরূপ মনোভাব বাড়তে থাকে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও পশ্চিমা রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। পাকিস্তানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আজও আমাদের বিজয় মেনে নিতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছে, দেশকে জঙ্গীদের অভয়ারণ্য করেছে। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । তাই ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েও সেদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে, এর বাইরে যায়নি।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি জানতো নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই বিএনপি ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল। যেকোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইয়াজদ্দিনকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিল। বিএপি জানতো তাদের অপকর্মের কারণে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সম্ভব ছিল না। কিন্তু জনগণের কারণে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছিল পশ্চিমা বিশ্ব।

নোবেলবিজয়ী ড. ইউনুস কোথায় শান্তি স্থাপন করেছিলেন এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, ড. ইউনুসের সুদের ব্যবসায় অনেকে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তিনি কি করেছেন তা আজ আজ পরিষ্কার।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।