রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৪২, ৬ জানুয়ারি ২০২৩

‘৫ জানুয়ারি নৈরাজ্যের কাছে মাথানত না করার উদাহরণ সৃষ্টির দিন’

‘৫ জানুয়ারি নৈরাজ্যের কাছে মাথানত না করার উদাহরণ সৃষ্টির দিন’

৫ জানুয়ারি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কাছে গণতন্ত্রকামী মানুষের মাথানত না করার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টির দিন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলার অসম সাহসী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আটকানো যায় না পুনরায় তা প্রমাণিত হয়।’

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৫ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী অপশক্তির হত্যা-ষড়যন্ত্র নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মিছিলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

‘জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ, বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে পারেনি। জনগণ সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদান করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দেয়।’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নিজেদের ভঙ্গুর অবস্থানের কারণে যে কোনো উপায়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তখন তাদের প্রাইম টার্গেট ছিল মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য তথাকথিত হরতাল-অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেশের জনগণকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দিনের পর দিন শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে গাছ কেটে রেখে জনগণের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে; বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।