রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৫১, ৩ মার্চ ২০২৩

বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসে সংবিধান প্রণয়ন করেন: আমু

বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসে সংবিধান প্রণয়ন করেন: আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান সরকারের কোন সংবিধান ছিল না। যে যেমন করে পারতেন দেশ চালাতেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে মাত্র ৯ মাসে একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সেই সংবিধানে ৩শ আসনে নির্বাচনী ব্যবস্থা করা হয়। যা সংবিধানেও সন্নিবেশিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমি ভবনে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। এ আলোচনার আয়োজন করে জেলা নির্বাচন অফিস।

জিয়াই এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করেন। রাজনীতিতে অযোগ্যদের পদায়ন করেন। তিনি আদর্শের রাজনীতি ধ্বংস করে খুনের রাজত্ব কায়েম করেন।

জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতা দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার নামে “হ্যাঁ-না নাটক” করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। হাইকোর্ট এটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এজন্য বিএনপির সৃষ্টিটাও অবৈধ হয়ে যায়।

এমপি আমু বলেন, পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদদ দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন, সেভাবে খালেদা জিয়াও পুনর্বাসন করেছেন। এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছেন পুরস্কৃত করেছেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খুনি দাবি করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এই হত্যার যেন বিচার না হয়, সেই ব্যবস্থাও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ডালিমসহ অন্যদের যখন বিদেশে পাঠানো হলো, অনেক দেশ তাদের গ্রহণ করেনি। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের স্বপক্ষে ছিল, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কূটনীতিক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল হক, জেলা নির্বাচন অফিসার মুন্সি অহিদুজ্জামান।