রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ১৪ মে ২০২২

আপডেট: ১৪:৩৮, ১৪ মে ২০২২

বাঙ্গালহালিয়াতে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা

বাঙ্গালহালিয়াতে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা

প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ার বেশী স্থানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে। নদী, ছড়া ও কৃষি জমিতে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ বালু মহলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলছেন সুশীল সমাজ।

এতদিন কাপ্তাই নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে বালু তোলা হলেও এখন বাঙ্গালহালিয়ার সর্বত্র চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার চক্রের দৌরাত্ম। বালু খেকোদের নজর থেকে বাদ যাচ্ছে না কৃষি জমিও। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে রাজস্থলী উপজেলা থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে বাঙ্গালহালিয়ার শফিপুর লতিফের বাড়ী সংলগ্ন, কুদুমছড়া, পুলক চৌধুরীর বাড়ীর পূর্বে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ৩৩ লক্ষ টাকার ব্রীজের পাশের এলাকায় রাতের আধাঁরে এসব বালু পাচার হচ্ছে চট্টগ্রামে।

এছাড়া, রাজস্থলী উপজেলার ছাইংখ্যং খাল, বড়ইতলি, কাপ্তাই নদীর একাধিক স্পটে এমনকি কৃষি জমির গভীর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের পাশাপাশি কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাজস্থলী উপজেলার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও উত্তোলিত বালু রাতে আধারে সমতলে পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন নদী, ছড়া ও খাল থেকে অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা বলেন, বাঙ্গালহালিয়াতে ইজারাবিহীন বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ধ্বংসের সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত, এটি দুর্নীতি।

তবে এ বিষয়ে কথা হলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা কে জানিয়েছি। তিনি অপরাগত হলে আমি প্রশাসনিক ভাবে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের মহোৎসব বন্ধের দাবী জানিয়েছেন বাঙ্গালহালিয়াবাসী।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়