রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

সালাহ উদ্দীন মাহমুদ আরিফ

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩০ নভেম্বর ১৯৯৯

মুক্ত মনা ব্লগ ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’

মুক্ত মনা ব্লগ ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’

সিঁদুর নারীকেই কেনো আজীবন পরতে হবে যদি পুরুষ না পরে? শুধু নারীকেই কেনো বিবাহিত দেখাবে যেখানে পুরুষকে শুধু কুমারই দেখাবে!? এসব দেখে যে কোনো দেশ-কাল-প্রেক্ষাপটের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দেখা যায় অনিবার্যভাবেই নারীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলে আসে।

এ সমাজে নারীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র আর সম্পত্তির উপর পূর্ণ অধিকার স্বীকার তো অনেক দূরের বিষয়, পরিবারের অবৈতনিক দাসী, সন্তান উৎপাদনের যৌনযন্ত্র, আর পুরুষের চিত্ত-বিনোদনের খোরাক কিংবা ভোগ্যপণ্য হওয়া ছাড়া নারীর আর কোনো স্বতন্ত্র ভূমিকা আছে, তা মানতে এখনো সমাজের অনেকেই ইতঃস্তত বোধ করেন, দ্বিধান্বিত হন।

পুরুষ হাজারটা নারী বেয়ে আসুক সেটা জেনেও নারীকে চুপ থাকতে হয়। স্বামীকে পরিত্যাগ করার ইচ্ছে করেনা। সে ক্ষেত্রে নারী যদি কোন পুরুষের সাথে সামান্য কথাও বলে সেটা পাপ হয়ে যাবে। নারীতেই সকল অমঙ্গল। পুরুষেই কি সবব মঙঙ্গল? অথচ একটা সময় স্বামীর জন্যই সতিদাহ হতে হতো। ইতিহাস ভুলে যায় পুরুষ। যেখানে অর্ধেক নারী আর অর্ধেক পুরুষের অধিকার থাকার কথা।

পুরুষের বাহুবল, তথাকথিত লিঙ্গ-বৈষম্য, ধর্মীয় বিধি-বিধান-শাস্ত্র-পুরোহিতের প্রতাপ-প্রপাগান্ডা, উৎপাদনব্যবস্থা-প্রযুক্তির দ্রুত বিশ্বায়নের চাপের ফলে মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ক্রমশ ভেঙে পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মোড় নিচ্ছে। ফলে সারা বিশ্বেই নারীকে শোষণ-নিপীড়ন-শৃঙ্খলিত করার ব্যাপ্তি দীর্ঘতর হচ্ছে।

হাজার হাজার বছরের নিয়ম প্রথাকে নারীর ঘাড়ে চেপে দিয়ে নারীকেই দাসি দাসত্বের চেয়ে বেশিকিছু উপলব্দিতে মানছিনা এখনো। যন্ত্র হিসেবে সকল মন্ত্র নারীর ঘাড়েই। পুরুষ সেখানে সিংহ আর হরিনি চোখে মেয়েরা শুধু মাংসই থেকে গেলো। তবে সিংহ কি? একজন হিংস্র জন্তু মাত্র। না মানে তার দুর্বলতা না মানে তার অযোগ্যতা।

এ হিংস্রতার দাবানলে পড়ে নারী কখনো বৃহৎ এক সংঘে হিংস্র হয়ে বিস্ফোরিত হবে নাতো?

দুঃখিত বন্ধুরা। এসব বাস্তব থেকে লেখা। তাই লিখে দিলাম। অপরাধ মার্জনা করবেন।

লেখাঃ সালাহ উদ্দীন মাহমুদ আরিফ

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ