রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১৪ জুলাই ২০২১

বান্দার জন্য কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত

বান্দার জন্য কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত

কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ত্যাগ করার মানসিকতা তৈরী করা। ছবি: সংগৃহীত


মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোরবানি একটি বিশেষ অনুগ্রহ। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কোরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যম হল কোরবানি তাই এর নাম কোরবানির ঈদ। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এজন্য একে কোরবানির ঈদ বলে। এ ঈদের অপর নাম ঈদুল আজহা। আরবি শব্দ আদ্বহা থেকে আজহা। যার অর্থ কোরবানির পশু, যেহেতু এই দিনে কোরবানির পশু যবেহ করা হয়, তাই একে ঈদুল আজহা বলা হয়।

কোরবানির গুরুত্ব
কোরবানি হলো ইসলামের একটি শিয়ার বা মহান নিদর্শন। কোরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন: ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কোরবানি কর।’ (সুরা আল-কাউসার : ২) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে। (মুসার আহমাদ, ইবন মাজাহ- ৩১২৩ হাদীসটি হাসান)

যারা কোরবানি পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদীস একটি সতর্কবাণী। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরবানি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, হে লোক সকল, প্রত্যেক পরিবারের উপর কোরবানি দেয়া অপরিহার্য।” [সুনান ইবন মাজাহ-৩১২৫, হাদীসটি হাসান)।

উল্লেখিত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে অনেক ওলামায়ে কিরাম কোরবানি করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।

কোরবানির ইতিহাস
কোরবানি আল্লাহ তায়ালার একটি বিধান। আদম আলাইহিস সালাম হতে প্রত্যেক নবীর যুগে কোরবানি করার ব্যবস্থা ছিল। যেহেতু প্রত্যেক নবীর যুগে এর বিধান ছিল সেহেতু এর গুরুত্ব অত্যধিক। যেমন ইরশাদ হয়েছে : ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ স্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সুরা আল-হাজ্জ: ৩৪ ) ‘আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানি পেশ করল। অতঃপর একজন থেকে গ্রহণ করা হলো আর অপরজনের থেকে গ্রহণ করা হলো না। (সুরা আল-মায়িদাহ:৩৪)

আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বন্ধু ইব্রাহিম (আ.) কে বিভিন্ন পরীক্ষায় অবতীর্ণ করেছেন এবং ইব্রাহিম (আ.) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহিম (আ.) কে তার রবের কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন, আমি তোমাকে নেতা বানাবো’। (সুরা আল-বাকারাহ-১২৪) নিজ পুত্র যবেহ করার মত কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন ইব্রাহিম (আ.)। এ বিষয়ে সুরা আস-সাফ্ফাতের ১০০ থেকে ১০৯ আয়াতে বলা হয়েছে, 'তিনি বললেন, হে প্রভু! আমাকে নেক সন্তান দান করুন।

অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম এক অতীব ধৈর্যশীল সন্তানের। পরে যখন সে সন্তান তার সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ানোর বয়সে পৌঁছলো তখন তিনি ইব্রাহিম (আ.) একদিন বললেন, হে বৎস ! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আল্লাহর হুকুমে তোমাকে যবেহ করছি এখন তুমি চিন্তা-ভাবনা করে দেখ এবং তোমার অভিমত কী? তিনি (ইসমাঈল) বললেন, হে পিতা আপনি তাই করুন যা করতে আপনি আদিষ্ট হয়েছেন । ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন। অতঃপর যখন দু’জনই আল্লাহর আদেশ মানতে রাজি হলেন, তখন তিনি ইব্রাহিম (আ.) পুত্রকে যবেহ করার জন্য শুইয়ে দিলেন। 

আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহিম ! তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই নেক বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এটি বড় পরীক্ষা। আর আমি তাকে বিনিময় করে দিলাম এক বড় কোরবানির দ্বারা এবং তা পরবর্তীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। শান্তি বর্ষিত হোক ইব্রাহিম (আ.) এর উপর।’ একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত কঠিনতম পরীক্ষায় সাফল্যজনকভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্যে এক মহান পিতার প্রাণাধিক পুত্রকে কোরবানি করার মধ্য দিয়ে ধৈর্যশীলতার উত্তম নমুনা পেশ পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। কোরআন মাজীদে উল্লেখিত আয়াতসমূহে ইব্রাহিম ও ইসমাঈল (আ.) এর আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি সীমাহীন আনুগত্যের সাবলীল বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখিত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, স্বীয় পুত্র যবেহ না হয়ে দুম্বা যবেহ হওয়ার মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মদী (সা.) এর উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।

কোরবানির ফজিলত
১. কোরবানিদাতা কোরবানির পশুর জবাই এর মাধ্যমে ইব্রাহিম (আ.) ও শেষ নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাতের বাস্তবায়ন করতে পারে। আল-কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমরা মহা কোরবানির বিনিময়ে তাকে মুক্ত করেছি।’ (সুরা আস-সাফফাত: ১০৭)

এ আয়াতের তাফসীরে তাফসীর বিশারদগণ উল্লেখ করেছেন, সকল কুরবানি এ মহাকুরবানির অন্তর্ভুক্ত। এ জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) যায়েদ ইবনে আরকাম বর্ণিত হাদীসেও কোরবানিকে ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নাত হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

২. কোরবানির রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য অর্জিত হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না তাদের গোশত এবং রক্ত, পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্ম পরায়ণদেরকে।' (সুরা আল-হাজ্জ: ৩৭)

৩. কোরবানি আল্লাহ তায়ালার অন্যতম নিদর্শন। সুরা হজ্জের ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'কোরবানির উটসমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনের অন্যতম করেছি। তোমাদের জন্য যাতে কল্যাণ রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থা এগুলোর উপর তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ করো আর যখন কাত হয়ে পড়ে যায় তখন সেগুলো হতে খাও। আর আহার করাও ধৈর্য্যশীল অভাবী ও ভিক্ষাকারী অভাবগ্রস্তকে এভাবে আমি ওদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ এ আয়াতে কোরবানির ফজিলত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং কোরবানির পশুকে আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

৪. পশু দ্বারা কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর যিকির বা স্মরণের বাস্তবায়ন করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ স্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সুরা আল-হাজ্জ: ৩৪)

৫. কোরবানির প্রবাহিত রক্ত আল্লাহ তায়ালার কাছে দু’টি কুচকুচে কালো ছাগলের চেয়ে প্রিয় ও পবিত্র। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অর্থাৎ কোরবানির প্রবাহিত রক্ত আল্লাহ তায়ালার কাছে দুটি কুচকুঁচে কালো ছাগলের চেয়ে অধিক প্রিয়। (সুনান বায়হাকী )

৬. ইসলামে হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইবাদত। হজের সঙ্গে কোরবানির অনেক বিষয় জড়িত। হাজীগণ এ দিনে তাদের পশু যবেহ করে হজকে পূর্ণ করেন। এ জন্য এর নাম হল (يَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ) বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। হাদীসে এসেছে, ইবন উমর (রা.) বলেন, 'রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরবানির দিন জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন? সাহাবাগণ উত্তর দিলেন এটা ইয়াওমুন্নাহর বা কোরবানির দিন। রাসূলে কারীম রাসূলুল্লাহ (সা.)  বললেন, এটা হলো ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন।' (সুনান আবু দাউদ)

৭. কোরবানির মাধ্যমে সামাজিক ও পারিবারিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি হয়। সমাজে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রেরণা তৈরি হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন : 'তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০৩)

৮. কোরবানিতে গরীব মানুষের অনেক উপকার হয়। যারা বছরে একবারও গোশত্ খেতে পারে না, তারাও গোশত্ খাবার সুযোগ পায়। দারিদ্র বিমোচনেও এর গুরুত্ব রয়েছে। কোরবানির চামড়ার টাকা গরীবের মাঝে বণ্টন করার মাধ্যমে গরীব-দুখী মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। অপরদিকে কোরবানির চামড়া অর্থনীতিতে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোরবানির উদ্দেশ্য
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তার ইবাদত করার জন্য। তাই আল্লাহ তায়ালার বিধান তার নির্দেশিত পথে পালন করতে হবে। তিনি বলেন : ‘আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা শুধু আমার ইবাদত করবে।’ (সুরা আয্যারিয়াত-৫৬)

আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোরবানির বিধান আমাদের উপর আসার বেশ কিছু উদ্দেশ্যও রয়েছে:

১. শর্তহীন আনুগত্য
আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাহকে যে কোনো আদেশ ইব্রাহিম (আ.) দেয়ার ইখতিয়ার রাখেন এবং বান্দাহ তা পালন করতে বাধ্য। তাই তার আনুগত্য হবে শর্তহীন। আল্লাহর আদেশ সহজ হোক আর কঠিন হোক তা পালন করার বিষয়ে একই মন-মানসিকতা থাকতে হবে এবং আল্লাহর হুকুম মানার বিষয়ে মায়া-মমতা প্রতিবন্ধক হতে পারে না। ইব্রাহিম (আ.) এর আনুগত্য ছিল শর্তহীন। এ জন্য মহান আল্লাহ যেভাবে বিশ্ব মানবমন্ডলীকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করেছেন ঠিক সেভাবে সর্বশেষ জাতি হিসেবে মুসলিম জাতির পিতাও মনোনয়ন দিয়েছেন । কোরআনে এসেছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিম এর মিল্লাত; তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা আল–হাজ্জ : ৭৮)

২. তাকওয়া অর্জন
তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় না। একজন মুসলিমের অন্যতম চাওয়া হলো আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন। পশুর রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে কোরবানি দাতা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন করেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না তাদের গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। (সুরা আল-হাজ্জ: ৩৭)

৩. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা
প্রত্যেক ইবাদাতই আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে। তাই কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হয়। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন : ‘এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। (সুরা আল-হাজ্জ: ৩৭) 

৪. ত্যাগ করার মহান পরীক্ষা
কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ত্যাগ করার মানসিকতা তৈরী করা। আল্লাহর বিধান পালনে জান-মালের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কোরবানির ঈদকে গোশত খাওয়ার অনুষ্ঠানে পরিণত করা নয়, বরং নিজেদের মধ্যকার পশুসুলভ আচরণ ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নফসের আনুগত্য ত্যাগ করে আল্লাহর একান্ত অনুগত হওয়াই কোরবানির উদ্দেশ্য। ‘আমি তোমাদেরকে অবশ্যই ভয়, দারিদ্র্য, সম্পদ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতি করার মাধ্যমে পরীক্ষা করবো।’ (সুরা আল-বাকারাহ: ১৫৫)

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়