রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৭ আগস্ট ২০২১

জুমার দিন গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ

জুমার দিন গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ

মুমিনের জীবনে কোন অপ্রাপ্তি নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি (নিজেদের জীবনে) আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না।’ কিন্তু আমরা জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো নিয়ে পড়ে থাকি বলে প্রাপ্তির শুকরিয়া আদায় করতে পারি না। ফলে অশান্তি আমাদের জীবন থেকে যায় না।

দ্বীনি এবং দুনিয়াবি এমন অনেক বিষয় আছে, উম্মতে মোহাম্মদী হিসেবে যা একমাত্র আমরাই পেয়েছি। অন্য নবীর উম্মতরা পাননি। তন্মধ্যে একটি হলো জুমার দিন। হাদিস শরিফে এই দিনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা অজ্ঞ রেখেছেন। ইহুদিদের ফজিলতপূর্ণ দিবস ছিল শনিবার। খ্রিষ্টানদের ছিল রোববার। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠালেন এবং জুমার দিনের ফজিলত দান করলেন। সিরিয়ালে শনি ও রোববারকে শুক্রবারের পরে রাখলেন। দুনিয়ার এই সিরিয়ালের মতো কেয়ামতের দিনও ইহুদি খ্রিষ্টানরা মুসলমানদের পরে থাকবে। আমরা উম্মত হিসেবে সবার শেষে এলেও কেয়ামতের দিন সব সৃষ্টির আগে থাকব (মুসলিম-১৪৭৩)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহের জন্য কাফ্ফারা হবে (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর যত দিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এ দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে (মুসলিম-৮৫৪)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এই দিন অর্থাৎ জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন বানিয়েছেন। (সহিহ ইবনে মাজাহ-৯০৮)।

ফজিলতপূর্ণ এই জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমলের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।  এইসব আমলের বিনিময়ে গুনাহ মাফের সুযোগ পাবেন- 

১. জুমার নামাজ আদায় করা। 
২. গোসল করা। 
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা। 
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা। 
৫. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।
৬. হেঁটে মসজিদে যাওয়া 
৭. সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পাঠ করা।
৮. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা 
৯. মসজিদে এসে জিকির, তেলাওয়াত ও ইবাদত ভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অন্য কোনো কথা না বলা। 
১০. বেচাকেনা বন্ধ রাখা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়