রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০০, ৫ মে ২০২২

গোঁফ ভিজিয়ে পানি পান করা কি হারাম?

গোঁফ ভিজিয়ে পানি পান করা কি হারাম?
ফাইল ছবি

সাধারণ মানুষের মাঝে গোঁফ রাখার প্রচলন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে গোঁফ রাখা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু গোঁফ বড় করে রাখা ইসলামে নিষিদ্ধ। হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা দাড়ি লম্বা করো, মোচ খাটো করো।’ –সহিহ বোখারি: ৫৮৯৩

উপরোক্ত হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, গোঁফ বড় করা মুসলিমদের আচার নয়। যেহেতু রাসুল (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন। কোনো কোনো বর্ণনামতে রাসুল (সা.) গোঁফ রাখতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি গোঁফ না ছাঁটে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩)

তাই কোনো মুসলমানের জন্য ফ্যাশন করার উদ্দেশ্যেও গোঁফ রাখা উচিত নয়। বলা যায় গুঁড়ি গুঁড়ি করে গোঁফ কেটে ফেলাই মুসলিমের চিহ্ন। এটা রাসুল (সা.) এর সুন্নত। শুধু তাই নয়, গোঁফ কাটার সর্বোচ্চ সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন রাসুল (সা.)।

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের জন্য গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলার ও বগলের পশম উপড়ে ফেলার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমরা যেন এ কাজগুলো ৪০ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত ফেলে না রাখি। বর্ণনাকারী বলেন, আরেকবার ৪০ রাতের কথাও বলেছেন। (নাসায়ি, হাদিস : ১৪)

কারণ এর বেশি সময় ধরে গোঁফ বড় করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। গোঁফের মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ-জীবাণু ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের বেশি আশঙ্কা থাকে। এতে লেগে থাকা ধুলো-বালি, ঘাম ইত্যাদি খাবারের সঙ্গে মিশে পাকস্থলীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর সৃষ্টি করতে পারে। তাই কোনোভাবেই গোঁফ লম্বা করা উচিত নয়।

অনেকে মনে করেন, গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা হারাম। এ কথাটির কোনো ভিত্তি নেই। তবে হ্যাঁ, কোনো বিধর্মীকে অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে গোঁফ বড় করা নাজায়েজ। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি বিজাতিদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩১)