প্রসূতি মায়ের রোজার বিধান
ধর্ম ডেস্কঃ-
প্রকাশিত: ১২:১১, ২৩ মার্চ ২০২৩

ফাইল ছবি
ইসলাম ধর্মের নিয়মানুযায়ী রমজানে প্রতিটি সুস্থ-সবল নারী ও পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা বাধ্যতামূলক। পারিবারিক ও সামাজিক কারণে আমাদের দেশের নারীরা রমজানে কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। বিশেষত সেহরি ও ইফতারের প্রস্তুতির ভার তাদেরই বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষের উচিত নারীদের যথাসম্ভব সহায়তা করা। কেননা পরিবার নারী-পুরুষ সবার। নারীরাও রক্তমাংসের মানুষ। তারাও রোজা রাখে। কাজেই তাদের ওপর অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত।
মহানবী (সা.) গৃহস্থালি কাজে তার স্ত্রীদের সাহায্য করতেন। তার জীবন ঈমানদারদের জন্য উত্তম আদর্শ।
মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘নারী’ শিরোনামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান।
নারীরা কখনো মা, কখনো বোন, কখনো স্ত্রী, কখনো কন্যা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে। রমজানে শারীরিক ও মানসিক দুইভাবে নারীকে সুস্থ থাকতে হয়। তবে প্রতিটা নারীরই নির্ধারিত কিছু শারীরীক সমস্যা দেখা দেয় বা হয়। আর তাই রমজানের রোজা রাখার আগে বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি-
সন্তান প্রসবকারী নারীর রোজার বিধান
নেফাসওয়ালা (সন্তান প্রসবকারী) নারী যদি ৪০ দিন হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে রোজা রাখবে। তবে নামাজের জন্য গোসল করে নেবে। আর যদি ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও রক্ত চলমান থাকে, তাহলে সে রোজা রাখবে ও গোসল করে নেবে। কেননা তার রক্ত ইস্তেহাজা (রোগ) হিসেবে গণ্য করা হবে। (বেহেশতি জেওর : পৃষ্ঠা : ১৬০, শরহে বেকায়া : খ. ১, পৃ. ১২০)
অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে রোজা পালনে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে ওই নারীর জন্য রোজা না রাখার অবকাশ আছে। সন্তান প্রসবের পর সুস্থতা লাভ করলে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে। এর জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে না।
মন্তব্য করুন: