রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৩ আগস্ট ২০২২

রাঙামাটিতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ বিষয়ক রোভিং সেমিনার

রাঙামাটিতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ বিষয়ক রোভিং সেমিনার

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ বিষয়ক রোভিং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং কৃষি কমিটির আহব্বায়ক অংসুছাইন চৌধুরী।

উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আপ্রু মারমা।

সেমিনারে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রম, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোকপাত করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষির সামগ্রিক আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। উন্নত আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি না থাকার কারনে ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৩ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারনে উন্নত আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০০৭ সালের মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময়ে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছিল। অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তৃনমূল পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য কার্যকর ভাবে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হলে এ দেশের কৃষি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

সেমিনারে পরিবর্তিত পরিবেশে পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ’এ করণীয় বিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আপ্রু মারমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এবং জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা: বরুন কুমার দত্ত আলোকপাত করেন।

সেমিনারে মতামত ব্যক্ত করেন জেলা পরিষদের সদস্য এবং কৃষি কমিটির আহব্বায়ক অংসুছাইন চেীধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ্বর চাকমা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম। সেমিনারে রাঙামাটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মী এবং দুই শতাধিক কৃষক কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার সভাপতি কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন, এক সময় বাংলার কৃষি ছিল পুরোটাই প্রকৃতি নির্ভর। ঘূর্ণিঝড়, বন্য, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত কৃষকের ফসলহানি ঘটতো। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন বাস্তবমূখী কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় কৃষকরা আগাম আবহাওয়া বার্তা পেয়ে নিরাপদে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারছে।

জনপ্রিয়