চাঁদে ৮০০ কোটি মানুষের ১ লাখ বছরের অক্সিজেন মজুদ আছে
চাঁদে ৮০০ কোটি মানুষের ১ লাখ বছরের অক্সিজেন মজুদ আছে- ফাইল ফটো
ভবিষ্যতে দূর মহাকাশে অভিযান পরিচালনা করতে মানুষের নজর এখন চাঁদে। সেখানে আস্তানা স্থাপন করতে হলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেন। পৃথিবী থেকে অক্সিজেন নিতে গেলে ব্যয় হবে বেশি। কিন্তু এবার চাঁদেই সরাসরি অক্সিজেনের উৎপাদনের ইঙ্গিতই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপরের স্তরেই জরুরি অক্সিজেন আছে। শিলাচূর্ণের এ আবরণকে বলা হয় রেগোলিথ।
নতুন প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, চন্দ্রপৃষ্ঠে যে পরিমাণ অক্সিজেন আছে, তা যদি ঠিকঠাক আহরণ করা সম্ভব হয়, তবে ৮০০ কোটি মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ১ লাখ বছর কাটিয়ে দিতে পারবেন। তবে সেই অক্সিজেন বায়বীয় রূপে নেই। এখন রেগোলিথ থেকে অক্সিজেন আহরণের টেকসই পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছেন গবেষকেরা।
পৃথিবীতে ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে খনিজ আকরিক থেকে ধাতব পদার্থ আহরণ করা হয়। সঙ্গে উপজাত হিসেবে উৎপন্ন হয় অক্সিজেন। তবে চাঁদে এ পদ্ধতিতে অক্সিজেন আহরণই মূল কথা। ধাতব সেখানে উপজাত, যা হয়তো একদিন কাজে লাগানো যাবে।
চাঁদের বায়ুমণ্ডল বেশ হালকা থাকায় সামান্য অক্সিজেন থাকলেও মূল উপাদান হাইড্রোজেন, নিয়ন ও আরগন। চাঁদে খনিজ যেমন সিলিকা, অ্যালুমিনিয়াম এবং আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড থাকে ভিন্ন রূপে। সেটা চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা পাথর, ধুলা, নুড়ি ইত্যাদির মধ্যে।
দ্য কনভারসেশন ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচের শক্ত পাথুরে স্তরগুলোর অক্সিজেন যদি বাদও দেওয়া হয়, কেবল রেগোলিথ বিবেচনায় নিলেও প্রচুর অক্সিজেন পাওয়া যাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে রেগোলিথের গড় গভীরতা যদি ১০ মিটার ধরা হয় এবং তা থেকে যদি সব অক্সিজেন আহরণ করা সম্ভব হয়, তবে তা পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের জন্য কমবেশি ১ লাখ বছরের জন্য অক্সিজেন মিলবে।
আলোকিত রাঙামাটি