রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৩০ মার্চ ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও একধাপ এগিয়ে

ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও একধাপ এগিয়ে

বাংলাদেশে এখন উচ্চ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্য নিজস্ব কেন্দ্র রয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি আনন্দের সংবাদ।

গতকাল দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমিতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি (বিএইচটিসি) প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশে বিশ্বমানের প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনে এ পর্যন্ত ৭০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই হাইটেক পার্কে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে ৪৪ প্রতিষ্ঠানের জন্য এই হাইটেক পার্কে প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অনেকে কারখানার ভবন নির্মাণও শুরু হয়েছে।

সরকার ইতোমধ্যে পার্কের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন, ৪৮ কোর ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক, আলোকসজ্জা, পাওয়ার স্টেশন, স্যুয়ারেজ লাইন, সেতু, কালভার্ট স্থাপন করেছে। মসজিদ, শপিং সেন্টার, অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভবনসহ ও একটি মনোরম কৃত্রিম লেকের নির্মাণ কাজ এখনও চলছে।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ কর্মী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে বিনিয়োগ পদ্ধতি বেশ সহজ ও ঝামেলামুক্ত করা হয়েছে।

এসব উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য থেকে মনে হয়, হাইটেক পার্কটি ভবিষ্যতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে।

কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে সমন্বয় করে হাইটেক সিটিতে অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আইটি ডিভাইস ও প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে কর ছাড়ের জন্য কাজ করছে। এটি তাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাড়তি সুবিধা দেবে।

উপরন্তু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের জন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও অন্যান্য সুযোগের ব্যবস্থা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ গত এক দশকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই হাইটেক পার্কটি পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বড় সুযোগ তৈরি করবে।

আমরা আশা করি, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরা এর সর্বোত্তম ব্যবহার করবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে, বাংলাদেশ প্রযুক্তির বিশ্ব মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

জনপ্রিয়