নতুন মোবাইল কেনার আগে এই জিনিসগুলো মাথায় রাখুন
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ-
প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৬ জুন ২০২২

ফাইল ছবি
নতুন মোবাইল কেনার সময় না ঠকে সঠিক পছন্দের ফোন কেনা একটি চ্যালেঞ্জই বটে। স্মার্টফোন বাজারে একই দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল রয়েছে। তাই কোন ফোনটি ছেড়ে কোনটা কিনবেন, সেটা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় আমারদের।
আজ আপনাদের জানাব যে, আপনারা একটি ফোন কেনার আগে ফোনের কোন কোন জিনিসগুলি দেখে নেবেন।
ডিসপ্লে
বড় ডিস্পেল ফোনে কিছু বেশি ভাল করে দেখতে সাহায্য করে। ফোনের সাইজ আগে ১-৫ ইঞ্চির হতো, এখন ফোনের সাইজ ৬ ইঞ্চির বেশি হয়। ফোনের ডিসপ্লে সাইজ বড় হলে ফোনে অনেক কাজ করা, যেমন- সিনেমা দেখা বা গেমিং করার মতন জিনিস গুলো অনেক বেশি ভালো করে করা যায়।
ক্যামেরা
ফোন কেনার আগে ক্যামেরা দেখে নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ফোনের ক্যামেরা কেমন হবে তা তার লেন্স আর মেগাপিক্সেল আর রেজিলিউশানের ওপরে নির্ভর করে। তাই ফোন কেনার আগে ফোনের ক্যামেরার ডিটেল দেখে নিতে ভুলবেন না।
র্যাম
বেশি র্যাম থাকলে ফোন মাল্টি টাস্কার বেশি হয়। আগের ১-৩ জিবির র্যামের ফোনের কথা ভাবুন আর এখনকার ৪, ৬, ৮ এবং ১২ জিবির র্যামের ফোনের কথা ভাবুন, এখন অনেক কম সময়ে ভালোভাবে ফোনে কাজ করতে পারেন।
স্টোরেজ
র্যামের মতন একটি ফোন কেনার আগে স্টোরেজ বিষয়টিও দেখে নেয়ার দরকার। আপনার ফোনের স্টোরেজ যত বেশি হবে, ফোনের স্পেস বেশি হবে। আর তাই ফোনে বেশি অ্যাপ বা বেশি ডকুমেন্ট সেভ থাকলে আপনার ফোন রান করতে সমস্যা হবে না।
প্রসেসর
আমরা জানি যে ফোনের খুব দরকারি জিনিস হল ফোনের প্রসেসর। আসলে একটি স্মার্টফোনের প্রসেসর ফোনের মাথার মতন। আপনার স্মার্টফোনে যত বেশি শক্তিশালী প্রসেসার থাকবে, ফোন তত ভাল কাজ করবে। মানে ফোন তত স্মুথলি রান করবে।
ক্লক স্পিড
এই ক্লক স্পিডের জন্যই প্রসেসার কোন কাজ তাড়াতাড়ি করতে পারে। এই স্পিড GhZ য়ে মাপা হয়। গ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিটগ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিটকেই GPU বলে। আর একটি প্রসেসরের জন্য একটি GPU থাকা দরকার। আর এর জন্য আপনাদের ফোনে প্রথমে এটি থাকা দরকার।
অ্যাস্পেক্ট রেশিও
ফোনের অ্যাস্পেক্ট রেশিও ছোট জায়গায় বড় স্ক্রিনের কাজ করে। ফোনের স্ক্রিন সাইজের লম্বা আর চওড়ার বিষয়টি দেখে। আগে যেখানে ফোনে ১৬:৯ অ্যাস্পেক্ট রেশিও ছিল তেমনি এখন ধিরে ধিরে ২০:৯ অ্যাস্পেক্ট রেশিও দেখা যাচ্ছে।
প্যানেল টাইপ
আমরা জানি যে ফোনের প্যানেল টাইপের মধ্যেই আছে AMOLED, Supar AMOLED বা অপ্টিক AMOLED য়ের মতন বিষয়গুলি, যা আসলে সবই OLED প্রযুক্তির আলাদা আলাদা ভেরিয়েন্ট। এবার আপনার কোন ধরনের প্যানেলের ফোন দরকার তাই এখানে দেখার। ফোনের ডিসপ্লের আরো একটি অঙ্গ হল ফোনের রেজিলিউশন। বেশি রেজিলিউশনের ডিসপ্লে আর কম রেজিলিউশানের ডিসপ্লের তুলনায় বেশি ব্যাটারি শেষ করে।
HDR আর নন HDR
এটি এমন এক অভিজ্ঞতা যা আপনাদের বাকি অভিজ্ঞতার থেকে একদম আলাদা। এটি স্মার্টফোনের পারফর্মন্সকে ভালো করে HDR ডিসপ্লে বেশি সুবিধা দেয়। আর আপনাদের এ সময়ে নেটফ্লিক্স আর প্রাইমের ভিডিও যা এই ফর্মে আসে তা দেখতেও বেশি সুবিধা দেয়।
ব্যাটারি
ফোনের শক্তিশালী ব্যাটারি খুবই দরকারি জিনিস। আর এর সঙ্গে এখন ফোনের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সঙ্গে ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি ফোনের বড় আর শক্তিশালী ব্যাটারিগুলিকে চার্জ করার সময় কম নেয়। আর এজন্য ফোনের ব্যাটারি সংক্রান্ত ঝামেলাও কম হয়।
অপারেটিং সিস্টেম
ফোনের কেনার সময়ে অপারেটিং সিস্টেমও দেখা দরকার। ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ফোনের অত্যন্ত দরকারি বিষয়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বা iOS হয়। আর যে ফোনই কিনুন দেখে নেবেন যে, ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যেন লেটেস্ট ভার্সানে থাকে।
মন্তব্য করুন: