রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ২৫ নভেম্বর ২০২১

একনজরে ম্যারাডোনার আদ্যোপান্ত

একনজরে ম্যারাডোনার আদ্যোপান্ত

দিয়েগো ম্যারাডোনা


দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা নাম শুনলেই ফুটবল ভক্তদের মনে চলে আসে এক অন্যরকম শ্রদ্ধা। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গত বছরের এই দিনে মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। একনজরে জেনে নিন ফুটবল কিংবদন্তির জীবনের বড় ঘটনাগুলোর আদ্যোপান্ত:

১৯৬০: ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লেনাস জেলায় জন্ম।

১৯৭৬: স্থানীয় ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিষেক।

১৯৭৭: ২৭ ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। তখন তার বয়স ১৬ বছর ১২০ দিন।

১৯৭৮: বয়সে কম হওয়ার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন।

১৯৭৯: ২ জুন, জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন। অধিনায়ক হিসেবে জয় করেন শিরোপাও।

১৯৮২: ২১ বছর বয়সে দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার জন্য স্পেনে পাড়ি জমান। ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা।

১৯৮৪: ৪.৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব নেপোলিতে যোগ দিলেন।

১৯৮৬: ঈশ্বরের হাতের খ্যাতি ও শতাব্দীর সেরা গোলের পাশাপাশি অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। ওই বছরই পান ইউরোপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার।

১৯৮৭: নেপোলিকে জেতান ইতালীয় ফুটবলের শিরোপা।

১৯৯০: সন্তানের পিতৃত্ব সংক্রান্ত মামলায় জরিমানার কবলে পড়েন। বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা।

১৯৯১: ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে ইতালি ত্যাগ করতে হয়। কোকেন গ্রহণের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার হন।

১৯৯২: স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব সেভিয়ায় যোগ দিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। 

১৯৯৩: সেভিয়া ছেড়ে আবারো আর্জেন্টিনায় ফিরে এলেন। যোগ দিলেন স্থানীয় নিওয়েল ওল্ড বয়েজ দলে।

১৯৯৪: আবার ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে এক ম্যাচ পরেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন। এরপর আর জাতীয় দলে খেলেননি।

১৯৯৬: মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হলেন।

১৯৯৭: ৩৭ বছর বয়সে ফুটবল থেকে অবসর নেন।

২০০০ : হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উরুগুয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন।

২০০২: মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি লাভের আশায় কিউবাতে চলে গেলেন।

২০০৪: ১৯ এপ্রিল আরেকবার গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

২০০৮: ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন ম্যারাডোনা।

২০১০: জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে পদত্যাগ।

২০১১: আরব আমিরাতের আল ওয়াসেল ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০২০: আর্জেন্টিনায়  ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায়।

আলোকিত রাঙামাটি