অদ্ভুত ধরনের প্রতিধ্বনি আসছে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে
রহস্যময় প্রতিধ্বনি আসছে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে। ফাইল ছবি
পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্র থেকে অদ্ভুত ধরনের প্রতিধ্বনি বার বার ভেসে আসছে। সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে ধরা পড়েছে এক ধীর লয়ের কম্পন। জানা গেছে, ভূ-তরঙ্গও বয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি ভূতাত্ত্বিকদের নজরে আসার পর তারা হাজার হাজার ভূমিকম্পের তরঙ্গ প্রবাহ বিশ্লেষণ করেছেন। ফলও পাওয়া গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নীচে রয়েছে এক অজানা গোপন কুঠুরি যেখান থেকেই ভেসে আসছে ওই প্রতিধ্বনি।
অনেকে পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কে কম জানেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের এই গ্রহের একেবারে গভীরে রয়েছে আরেকটি স্বতন্ত্র অঞ্চল। আর সেটি পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরের বাইরের অংশের চেয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের।
মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সেখানকার গঠন-প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের কাছে বরাবরই রহস্যময় বলে বিবেচিত হয়। ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠে যে কম্পন ও প্রতিধ্বনি হয়, বিজ্ঞানীরা তার ওপর গবেষণা চালিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের বৈশিষ্ট্য জানার চেষ্টা করেন।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কেসিয়াস আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জের ঠিক নীচে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ কিলোমিটার গভীরে একেবারে পৃথিবীর কেন্দ্র ও তাকে ঘিরে থাকা কঠিন আবরণের সীমানা ঘেঁষে রয়েছে এক বিরাট কাঠামো। এমন একটি এলাকা যার খোঁজ আগে কখনও পাওয়া যায়নি। এই কাঠামোর ভৌত, রাসায়নিক গঠন কী, তার বৈশিষ্ট্যই বা কী, সেটা এখনও অজানা। কীভাবে ওই ভূ-তরঙ্গ তৈরি হল সেটা এখনও রহস্য।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, টেকটনিক প্লেট ও পৃথিবীর গভীরে থাকা ম্যান্টল স্তরের চলাফেরাই এর অন্যতম কারণ। গলিত ম্যান্টলের প্রবাহের ফলে তার উপরের টেকটনিক প্লেটগুলোর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এই ধাক্কাধাক্কির ফলেই ভূত্বকের পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গী হয় ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত বা কখনও সুনামি।
আলোকিত রাঙামাটি