রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১ জুন ২০২০

অফিস করেছেন অধিকাংশ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী-সচিব

অফিস করেছেন অধিকাংশ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী-সচিব

ছবি- সংগৃহীত


করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে রোববার প্রথম অফিস করেছেন বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব। সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে যেতে থাকলে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী টানা ৬৬ দিনের ছুটি গতকাল শনিবার (৩০ মে) শেষ হয়েছে।

বিভিন্ন শর্ত পালন ও নির্দেশনা মানাসাপেক্ষে রোববার থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস খুলে দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার সকাল থেকে অফিস শুরু করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসেছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবরা। বর্তমানে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। এছাড়া প্রশাসনে ৭৭ জন সিনিয়র সচিব, সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।

শিল্প, পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, রেলপথ, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আব্দুল গণি রোডের সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত।

রোববার অফিসে এসেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

এছাড়া অফিস করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, 'সকালেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় অফিসে এসেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা অফিস করেছেন। মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য অফিসাররাও এসেছেন।'

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তমতলায় জীবাণুমুক্ত করার টানেল বসানো হয়েছে।'

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ধর্মবিষয়ক প্রতিন্ত্রী শেখ মো. আব্দুলস্নাহ, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য রোববার প্রথম দিন অফিস করেছেন।

এছাড়া বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম অফিস করেছেন বলে তাদের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

অফিস করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও।

সচিবালয়ের সচিবদের মধ্যে অফিস করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম।

এছাড়া বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল অফিস করেছেন।

আলোকিত রাঙামাটি