অর্থের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি পর্যটকবাহী গাড়ি চালকদের
চাঁদের গাড়িতে ঘুরছেন পর্যটকেরা
প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। শুক্রবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম প্রধান চার পর্যটন কেন্দ্র। এতে অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে পর্যটকবাহী গাড়ি চালক ও মালিকদের।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। এতে লাভবান হচ্ছেন চাঁদের গাড়ি চালক ও মালিকেরা।
চাঁদের গাড়ি চালক সজীব চাকমা বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কারণে আমাদের অর্থ উপার্জনের কোনো উপায় ছিলনা, যার ফলে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। এখন পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে।
গাড়ির মালিক পুলক দেওয়ান বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের চলতে খুব কষ্ট হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার ফলে আমাদের এতদিনের কষ্ট লাগব হবে আশা করছি।
পার্বত্য যানবাহন সমিতির সভাপতি বলেন, দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এগুলো মেনে পর্যটকদের নিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করছি সব শর্ত মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গাড়ি চলাচল করবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের পর্যটকবাহী গাড়ি চালক ও মালিকেরা।
আলোকিত রাঙামাটি