রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:০২, ২৫ জুন ২০২০

আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিলো স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য

আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিলো স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, এ দলটির জন্মই হয়েছিলো এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দিলেন তখন সারা বাংলার মানুষ একে মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি আয়োজিত অনলাইনে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘গণমানুষের পাশে আওয়ামী লীগের ৭১ বছর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান সোমবার রাতে অনলাইন অ্যাপ জুম এর-মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়।

অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি তার জীবনের ১৪টি বছর জেলে কাটিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দিলেন তখন সারা বাংলার মানুষ একে মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করে। যখন বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠন করতে দিলো না তখন স্বাধীনতার ডাক দেওয়া ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আর কোন উপায় ছিলো না।

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিলো এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার জন্য। ১৯৭১ সালে যখন লাখ লাখ তরুণ মুক্তিযুদ্ধ করছে তখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সরকার তারা ভবিষৎ বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে’ প্ল্যানিং সেল’ গঠন করে । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশ টিকবেনা বলা হলেও সেই দেশকে তিন বছরে পুনঃগঠন করেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু মাত্র ১৩১৪ দিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন এই সময়ের মাঝে তিনি ৪০টি আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করেছিলেন বলে যোগ করেন সুভাষ সিংহ রায়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু যদিও সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি যতো কাজ করে গেছেন এবং কাজের যে ধারাটা রচনা করে গিয়েছিলেন তা বাংলাদেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতা দেখানো নিয়মেই দেশ পরিচালনা করছেন বলেই আমরা সেই সুদিন আবার দেখতে পাচ্ছি।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশকে একটি অনগ্রসর জাতিতে পরিণত করতে বিএনপি-জামাত জোট যখন সাবমেরিন কেবল সংযোগের অনুমতি দিলো না তখন আমরা অনেক পিছিয়ে পড়লাম। পরবর্তীতে যখন মোবাইল সেবা আসলো বিএনপি আমলে তখন একটা মোবাইল সংযোগ নিতে খরচ পড়তো দেড় লক্ষ টাকা যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে এতো ব্যয়বহুল সংযোগ নেয়া সম্ভব ছিলোনা।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসলো তখন দল-মত নির্বিশেষে সকলকে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবসার সুযোগ দেয়া হলো। এটাই হচ্ছে মানুষকে সেবা করার সদিচ্ছা।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়