রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:২৫, ২৩ মে ২০২০

আগামী মাসেই আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’

আগামী মাসেই আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’

ফাইল ছবি


ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়েছে চারদিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একাধিক জেলা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আম্ফানে দাপটে। বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৪ তম ঘূর্ণিঝড় ছিল আম্ফান। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, আসন্ন আরেক মহাপ্রলয়ের নাম ‘নিসর্গ’।

জুনের প্রথম সপ্তাহে এই সাইক্লোনটি আঘাত আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেছেন জানা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক ড. বিশ্বজিৎ নাথ। তিনি ২৩ মে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাসে দিয়ে এই তথ্য শেয়ার করেন। 

 

ড. বিশ্বজিৎ নাথ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস

 

এদিকে, কিন্তু ঘূর্ণিঝড়গুলো নামকরণ কিভাবে হয়? আর আম্ফানের পরবর্তী ঝড়গুলির নাম কী? আঞ্চলিকভাবে বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা কেন্দ্রগুলির দ্বারা সেগুলির নামকরণ করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল অর্গানাইজেশন অথবা প্রশান্ত মহাসাগর বা ডব্লিউএমও ইস্কাপের তালিকাভুক্ত দেশগুলি বিভিন্ন ঝড়ের নাম প্রস্তাব করে। এই তালিকায় রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নাম। এই অঞ্চলে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে দেশগুলিই।

২০১৮ সালে তালিকায় আরো পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি দেশ হল ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এপ্রিলে প্রকাশিত নতুন তালিকায় ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম রয়েছে। তালিকার ১৩টি দেশের থেকে ১৩টি প্রস্তাবিত নাম রয়েছে এখানে।

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আম্পানের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হবে, নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপ প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম) এবং ইয়াস (ওমান প্রস্তাবিত)।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়