রাঙামাটি । বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২৮ জুলাই ২০২০

আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন সজীব ওয়াজেদ জয়

আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন সজীব ওয়াজেদ জয়

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ই আগামী বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন বলে মনে করেন আলোচকরা।

সোমবার (২৭ জুলাই) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন। 

 তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে। তিনি আজকে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বের একজন সেরা প্রযুক্তিবিদ হিসাবে স্বীকৃত। আজ তার শুভ জন্মদিন। তিনি আজ ৫০ বছরে পদার্পণ করলেন। তিনিই আমাদের আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম ১৯৭১ সালে। আমরা সৌভাগ্যবান যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু কন্যার কোলজুড়ে তিনি পৃথিবীতে আসেন। তার নাম বললেই মনটা ভরে যায়, সজীব ওয়াজেদ জয় যেন আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। আমি আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার কুলাঙ্গার সন্তানকে নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। সেই প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যিনি লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছেন, তিনি নাকি এই বাংলাদেশে তার পিতাকে জাতির পিতা বানাবে বলে হুংকার দেয়। কিন্তু সেই কুলাঙ্গার জানে না, এখনো আমরা এখনো বেঁচে আছি। আমরা বেঁচে থাকতে, তারেক রহমানের মতো কুলাঙ্গারের মতো কারো হুংকার বাস্তবায়ন করতে দিবো না। তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্ত কখনোই আপোষ করবে না, বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি। 

 সুজিত রায় নন্দী বলেন, আজকে আমি মনে করি, আমাদের জাতির জন্য একটি শুভ জন্মদিন। আজকের এই দিনে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি আজ পৃথিবীর অনেক দেশের আইকন।  ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়। করোনা মহামারির সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, পারদর্শিতার কারণেই আমরা দুর্যোগকে সহনশীল রাখতে পেরেছি। এই সময়ই ৭ কোটি মানুষকে আমরা ত্রাণ সহায়তার মধ্যে আনতে পেরেছি। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহয়তা দেয়ার। অনেক অসাধু ব্যক্তিরা চেষ্টা করেছিল নিজেদের পকেটের লোকদের সহায়তা দিতে। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে সেটা সম্ভব হয়নি। সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত হয়েছেন, ববি ভাইও উচ্চ শিক্ষিত। তাদের মেধা ও যোগ্যতা আমাদের গর্বিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ রেখে গেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ ঘরে বসে অনেকেই আয় করতে পারছেন। অনেকে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে যারা হাসাহাসি করেছিল, তারাই আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করছে। 

 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল হাসান কলিমউল্লাহ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় অনেকেই নিজেদের ক্লিন ইমেজেদের দাবি করেছিলেন। কিন্তু আলোর নিচে তাদের রাখলে দেখতে পাবেন শুধু ক্যাশ টাকার জন্যই তারা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু এ অবস্থায় তাদের লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানা হতো না। সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই ক্যাশলেস সমাজ গঠনের প্রচেষ্টায় চলছে। 

 তিনি আরো বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে তার প্রথম জীবনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপকার হিসাবে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনিই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জেলাপ্রশাসনের অফিসেও ডিজিটাল সুবিধা প্রদান করার কাজটিও হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, মূল বিষয়টা হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয় নামটাই একটা বিস্ময়। তার নামটাই তার নানা বঙ্গবন্ধুর দেয়া। জয় নামটাই অন্তরে ধারণ করার বিষয়। তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া। তার নামটাই ছিল একটা প্রতীক। আমাদের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলার সাথে তিনি জড়িত। যখন সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম হয়েছিল তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, তোর ছেলে হবে স্বাধীন বাংলাদেশে। তার নাম রাখবি জয়। কিন্তু সবীজ ওয়াজেদ জয়ের জীবনটা কিন্তু সংগ্রামের জীবন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার সাথে কাজ করেছি। এই সময় নেত্রী বলেছিলেন, আমি চাই না জয় বিদেশে পড়াশুনা করুক। তিনি ভারতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করার মাধ্যমে সার্বিক যে জীবনগাথা গড়ে তুলেছেন, তা আমাদের কাছে অনুকরণীয়। সেই সময় জয় ও পুতুলকে রেখেই দেশের স্বার্থে  তিনি এদেশের মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের মতো কেউ এতটা কষ্ট করেনি। জয় ভাই যখন তার মা প্রধানমন্ত্রী তখনো ক্ষমতার কেন্ত্রবিন্দুতে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জয় ভাই আসুক, সেটি কখনো চাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ এদেশে আসলে তাকে অনেকেই ঘিরে ধরবে, এটাই ভেবেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপির সরকারের সময় আপনারা উল্টোটা দেখেছেন। খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা ১৯৯১ সালে সাবমেরিন ক্যাবেল সংযুক্ত করতে না দিয়ে বাংলাদেশকে ১৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। আমরা যদি দেখি উপমাহাদেশের দিকে, গান্ধী পরিবার এবং ভুট্টো  পরিবার ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবার এগিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা বলে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় সেটা করতে দেননি। তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। আজকে করোনার সময় যদি বিদ্যুত ও ডিজিটাল সেবা অব্যাহত না থাকতো তাহলে অনেক হাসপাতালই বন্ধ হয়ে যেত। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত সচেতনভাবে ক্ষমতার বাইরে থেকেছেন। তিনি একজন স্বপ্নবাজ মানুষ হিসাবে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের এতিহ্যকে ধরে রেখে মানুষের কল্যাণেই কাজ করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এমনকি ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও বঙ্গবন্ধুর উত্তরসুরীরা কাজ করছেন। এমনকি বিশ্বব্যাপী বিএনপি-জামায়াত এবং ড. ইউনূসের ষড়যন্ত্রকে রুখতে বিদেশে কাজ করে গেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বিনা পয়সায় বিদেশে বসে লবিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন। আমাদের জিএসপি বাতিল করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা কাজ করেছে। ঠিক তখনই সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে এসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেছেন।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আর মাত্র কয়েকদিন পরই শোকের মাস আগস্ট শুরু হবে। আজকে ভোরের পাতার যে বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা হচ্ছে বাংলাদেশের সকল মানুষের অহংকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। আমরা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের কাছে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি পরিবার এসেছিল। সেই পরিবারটির নাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার। তারই সুযোগ্য কন্যা বারবার হত্যার সম্মুখীন হয়েও দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল। বাস্তবে আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তিনি তার নানা, দাদা এবং মাতা-পিতার কাছ থেকে নেয়া শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ডিজিটাল পদ্ধতিকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সজীব ওয়াজেদের ভূমিকা সবাই জানেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ এবং শেখ রেহানা আপার পুত্র ববি ভাই দেশের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মানুষজন কেউই নিজেদের জন্য কিছু করেন না, তারা দেশের মানুষের উন্নয়নের কাজ করেন। 

সায়েম খান বলেন, আমি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ১৯৭১ সালে অমিত সম্ভাবনা নিয়ে তিনি জন্মেছিলেন শেখ হাসিনার কোল আলো করে। কিন্তু তার শৈশবে ছেদ ফেলেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনায়। এরপর নানা সংগ্রামমুখর জীবন কাটিয়ে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এই করোনার সময় আমাদের সরকারের অর্থনৈতিক সচতলতা ৮০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা ঘটছে শুধুমাত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মাধ্যমে। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে। তিনি জানতেন কিভাবে সুদক্ষ নির্দেশনায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় স্বপ্ন দেখেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে রয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনিই আমাদের বাংলাদেশকে আগামীর দিনে এগিয়ে নিতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি। শুধু সজীব ওয়াজেদ জয়ই পারেন সেটা করতে। আমি তার জন্মদিনে সুস্থাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

আলোকিত রাঙামাটি