রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ , ২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৮ মে ২০২০

আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

ফাইল ফটো


আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। অন্যান্য বছর বাংলাদেশে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়ে থাকে। এবার করোনার প্রভাবে কোন উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি দেশে পালন করা হচ্ছে।

পরিসংখ্যান মতে, দেশে প্রতি এক লাখ প্রসবে ১৭৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়। প্রতি হাজারে নবজাতক শিশু মৃত্যুর হার ২১ জন। এসডিজি অর্জন করতে হলে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে। 

মায়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের। একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান অধিদফতরের।

যেকোনো মহামারীর সময় যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে থাকে। একটি সক্রিয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও যথাযথ ভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ সতর্কতা মেনে চলার উপর নিরাপদ গর্ভবস্থা এবং প্রসবকালীন স্বাস্থ্য নির্ভর করে।

যেহেতু কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব গর্ভবতী নারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই ইউএনএফপিএ এই মায়েদের ঝুঁকিগুলির ক্ষেত্রে কিছু সীমিত প্রমানসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং প্রস্তাবিত সহায়ক চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করছে।

গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এ বিষয়ে আজ অবধি কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে গর্ভাবস্থায় নারীদের বেশকিছু শারীরিক পরিবর্তন হয় যার ফলে গর্ভবতী নারীর শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। তাই এই প্রতিকূল আবস্থা থেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য গর্ভবতী নারীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের সঙ্গে চিকিৎসা করা উচিত।

অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের মতই গর্ভবতী নারীদের জন্যেও সংক্রমন এড়াতে একই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যেমন যদি হাঁচি-কাশি হয় এমন কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো, বার বার সাবান এবং পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় মুখ এবং নাককে টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা বা কনুই ব্যাবহার করা এবং মাছ, মাংস এবং ডিম ইত্যাদি পুরোপুরি সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়া। এ সকল তথ্যসমূহ ডব্লিউএইচও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

এই মুহূর্তে, ভাইরাস প্রতিরোধ বা নিরাময়ের জন্য এখন অবধি কোন ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই তবে লক্ষণগুলো দেখা গেলে কিছু চিকিৎসা সেবা প্রস্তাব করা হচ্ছে। সন্দেহজনক বা নিশ্চিত কোভিড-১৯-এ সংক্রমণযুক্ত গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা তাদের প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য ডব্লিউএইচও এর দ্বারা সুপারিশকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরন করার মাধ্যমে সেবা প্রদান করা।

ইউনিসেফের মতে, যেহেতু মায়ের দুধের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এমন কোনো প্রমান নেই, তাই স্তন্যপান করানো মায়েদেরকে তাদের নবজাতকের থেকে পৃথক করা উচিত নয়। মায়েরা নিম্ন উল্লেখিত সতর্কতা অবলম্বন করে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ স্তন্যদান করানো চালিয়ে যেতে পারেন:

করোনার পর্যাপ্ত লক্ষণসম্বলিত মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য একটি মাস্ক পরানো উচিত যখন কোন সন্তান কাছে থাকে (খাওয়ানোর সময়) শিশুর সংস্পর্শে আসার পূর্বে এবং পরে (খাওয়ানো সহ) হাত ধোয়া উচিত এবং পরিষ্কার/জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

কোনো মা যদি বুকের দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে খুব অসুস্থ হোন তবে তাকে একটি পরিষ্কার কাপে দুধ বের করে চামচ দিয়ে শিশুকে দেয়া যেতে পারে, তবে সে সময় মাস্ক পরা, শিশুর সংস্পর্শে আসার পূর্বে এবং পরে (খাওয়ানো সহ) হাত ধোয়া এবং স্তনের উপরিভাগ ও চারিপাশ পরিষ্কার/জীবাণুমুক্ত করা এসব ব্যাপারে উৎসাহিত করা উচিত। 

আলোকিত রাঙামাটি