রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ম ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আজ শুভ মহালয়া

আজ শুভ মহালয়া

ফাইল ছবি


হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। হিন্দু ধর্ম মতে, মহালয়ায় দেব-দেবীরা দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন।  আজ থেকে দুর্গাপূজার দিন গোনা শুরু; ছয়দিন পরেই আসবে মহা ষষ্ঠী।

আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া-পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। শ্রী রামচন্দ্র অকালে অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পুজাকে দেবীর অকাল বোধন বলা হয়। পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হলেও আজ থেকেই দুর্গাপূজার আগমনীধ্বনী পূজার্থীরা শুনতে পাবেন।

শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অসংখ্য মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজাম-পে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে সকালে মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে গত বছরের দেবী প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে মন্দিরের নিজস্ব জলাশয়ে।

পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত আসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব বক্ষ্রন্ডের অধীশ্বর হতে চায়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সন্মিলিতভাবে মহামায়ার রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন। দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী নিয়ে দেবী দুর্গা নয় দিনব্যাপি যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।

আলোকিত রাঙামাটি