রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ৪ অক্টোবর ২০১৯

আজ ষষ্ঠী পূজা

আজ ষষ্ঠী পূজা

ফাইল ছবি


জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যে এসেছেন। বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।

বৃহস্পতিবার গোধুলি লগ্নে মন্দিরে মন্দিরে দুর্গা দেবীর বোধন হয়েছে। আজ শুক্রবার ষষ্ঠী পূজা। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গা দেবীর মর্ত্যে আগমন ঘটবে। এবার দেবীর আগমন-গমন (বিদায়) দুটোই ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। শাস্ত্রমতে, দেবীর ঘোটকে আগমন ও গমনের ফল শুভ নয়। এতে অমঙ্গল অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব এই দুর্গাপূজা। ধর্মমতে, যা কিছু দুঃখ-কষ্টের বিষয়, যেমন– বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ-শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। শাস্ত্রকাররা দুর্গা নামের অর্থ করেছেন- দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। দুর্গা পূজার সঠিক সময় বসন্তকাল। কিন্তু বিপাকে পড়ে রাজা রামচন্দ্র এই শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগিয়ে পূজা করেন। সেই থেকে অকালবোধন হওয়া সত্ত্বেও শরৎকালেই দুর্গা পূজার প্রচলন হয়।

বাঙালিদের কাছে শারদোৎসব নামে পরিচিত দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে। দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। অবশ্য আজ সন্ধ্যায় বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমনধ্বনি অনুরণিত হয়েছে।

শনিবার মহাসপ্তমী, রবিবার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং ৭ অক্টোবর মহানবমী পূজা হবে। সর্বশেষ ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে টানা পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্দিরগুলোতে আগামী শনিবার মহাসপ্তমীতে সকাল থেকে পূজা চলবে, এছাড়া দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনও করা হবে। এদিন দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। মহাষ্টমীতে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা, দুপুরে সন্ধিপূজা এবং বিকেলে মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে। নবমীতে সকাল থেকে পূজা চলবে এবং সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতা হবে। বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকেই পূজা হবে এবং বিকেলে বিজয় শোভাযাত্রা শেষে বিসর্জন হবে। দুর্গা দেবী স্বর্গালোকে ফিরে যাবেন।

আলোকিত রাঙামাটি