রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৯ জানুয়ারি ২০২১

‘আনারস নিয়ে শুধু চিপস নয় জুস তৈরি নিয়েও বহুমূখী চিন্তা ভাবনা আছে’

‘আনারস নিয়ে শুধু চিপস নয় জুস তৈরি নিয়েও বহুমূখী চিন্তা ভাবনা আছে’

ছবিঃ আলোকিত রাঙ্গামাটি


মেহেরাজ হোসেন সুজন, নানিয়ারচরঃ- আনারসের মৌসুমে যে সকল কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আনারসের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের থেকে আমরা ন্যায্যমূল্যে আনারস ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে আনারসের চিপস তৈরি করে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও নানিয়ারচরের আনারস চাষীদের স্বার্থে আগামীতে আনারসের জুস তৈরির পাশাপাশি ফলটি নিয়ে আমাদের বহুমূখী চিন্তা-ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমতিয়াজ আলম।

তিনি আরো জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আনারস চাষের জন্য বিশেষ কোন কর্মসূচি বা প্রকল্প না থাকায় আমরা গতানুগতিক ভাবে পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। আনারসের রাজধানী নামে সুপরিচিত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা। উপজেলার পাহাড় গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সবুজে সবুজে সমাহার আনারসের বাগান গুলো। আনারস চাষ লাভজনক হওয়ায় গেল বছরের তুলনায় নানিয়ারচর এ আনারস চাষের পরিমাণও বেড়েছে এবছর।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, নানিয়ারচর উপজেলায় আনারসের আবাদকৃত জমির পরিমাণ গত বছর ছিল ১ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর চলতি বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর। গতবছর হেক্টর প্রতি ফলন ৩০ মেট্রিকটন করে সর্বমোট উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। চলতি বছর হেক্টর প্রতি ফলন ধরা হয়েছে ৩২ মেট্রিকটন আর সর্বমোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিকটন।

নানিয়ারচরের এক আনারস চাষী বলেন, এ বছর প্রায় ২ একর জমিতে আনারসের চাষ করছি সবকিছু মিলিয়ে আমার প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। আনারসের ফলন ভালো হলে ও সঠিক ভাবে যদি বাজারজাত করতে পারি এবং ন্যায্যমূল্য পাই তাহলে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হবে এবং সরকারি বা কনো সংস্থার মাধ্যমে যদি বিভিন্ন ফ্যাক্টরি করে তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।

আলোকিত রাঙামাটি