রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১৬ মে ২০২১

আমের চাষ করে লাভবান চন্দ্রঘোনার মংচিং মারমা

আমের চাষ করে লাভবান চন্দ্রঘোনার মংচিং মারমা

আম চাষী- মংচিং মারমা


মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাইঃ- কাপ্তাইয়ে আম চাষে একজন সফল কৃষক চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টান মিশন এলাকার বাসিন্দা মংচিং মারমা। প্রায় ৩ একর পাহাড়ী জমিতে আম ও লিচুর চাষ করেছেন তিনি। চলতি বছর ওই বাগানে আম ও লিচুর ফলন চাহিদা অনুযায়ী ভাল হওয়ায় তিনি এবং তার পরিবার বেজায় খুশি। সরকারী সহায়তা পেলে চাষের পরিধি বাড়ানোর আগ্রহ এই চাষীর।

গত শনিবার (১৫ মে) চাষী মংচিং মারমার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, কাপ্তাই সড়কের রেশম বাগান পুলিশ চেক পোস্ট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বারঘোনিয়া ছড়ার পাশেই তার বিশাল আমের বাগান, সাথে আছে লিচুর বাগানও। প্রায় ৩ একর পাহাড়ী জমিতে তিনি আম এবং লিচুর চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। কাপ্তাই উপজেলাধীন মিশন এলাকার বাসিন্দা চাষী মংচিং মারমা যিনি একজন দক্ষ স্যুটার হিসাবে সু-পরিচিত এবং তিনি উপজেলা রাইফেল ক্লাবের একজন সদস্য  । 

তিনি জানান, এ বছর তার বাগানে প্রায় ২ হাজার গাছে ফজলি, হাড়িভাঙা, আম্রপালি, রাংগুই, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে। এসব আম সম্পূর্ণ ফরমালিন মুক্ত। আগামী জুন মাস থেকে আমের ফলন উত্তোলন শুরু হবে। এসব আম বিক্রি করে তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি আরো জানান, তার বাগানে আমের পাশাপাশি চায়না-থ্রী এবং দেশী লিচুর চাষ করেছেন। লিচু বিক্রি করেও তিনি বেশ লাভবান হবেন বলে জানান।

সফল চাষী মংচিং মারমা জানান, বিগত ২০ বছর ধরে তিনি এই বাগান করছেন। বাগান করা তার নেশা এবং পেশা। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তিনি আরো বড় পরিসরে বাগান সৃজন করে আরো বেশী এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মত প্রকাশ করেন। 

কাপ্তাই কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, তার ব্লক রেশম বাগান তনচংগ্যা পাড়া এলাকায় অনেকে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে  আম, লিচুসহ নানা জাতের ফলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন, এক্ষেত্রে কৃষক মংচিং মারমা সহযোগিতা চাইলে কৃষি বিভাগ সবসময় তার পাশে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

আলোকিত রাঙামাটি