রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২১

আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে

আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে

পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ। এখন চলছে স্লাব বসানোর কাজ। স্লাবসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে ২০২২ সালেই পদ্মার এপার-ওপার যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। দক্ষিণের মানুষের এই স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি তাদের আরেকটি স্বপ্ন খুব শিগগিরই পূরণ হতে যাচ্ছে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ।

করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক মাস নির্মাণকাজে ভাটা পড়েছিল। তবে এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জুনে সেতুটি যান চলাচলের উপযোগী হবে বলে দাবি প্রকল্প-সংশ্নিষ্টদের।

বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু ও পায়রা সেতু সমানতালে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে পটুয়াখালীর সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও সাগরকন্যা কুয়াকাটারসহ পুরো দক্ষিণ  উপকূলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর 'পায়রা সেতু' নির্মাণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সে লক্ষ্যে ২০১১ সালে কুয়েত সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা নদীতে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। এরই মধ্যে মূল সেতুর ৭৫ শতাংশ এবং পুরো প্রকল্পের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়াল ব্রিজ অ্যান্ড রোড কনস্ট্রাকশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলে নির্মিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়