রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

আল্লামা শফীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল মামুনের অনুসারীরা

আল্লামা শফীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল মামুনের অনুসারীরা

ভীষণ কষ্ট পেয়ে মরেছেন আল্লামা শফী। জীবন প্রদীপ নেভার আগে মওলানা নামধারী সন্ত্রাসীরা মোবাইলে ভয়েসবার্তা অনুসারে কাজ করছিল। তাদের কাছে ফের আকুতি জানালে তারা বলে, এইমাত্র আমিরের নির্দেশ এসেছে, অ্যাম্বুলেন্সে করে হুজুরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। তবে আমাদেরকে বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে হুজুর সুস্থ আছেন এ মর্মে মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রচার করতে হবে।

তখন তারা একটি ভিডিও করে এবং ভিডিওতে বলে, হুজুর সুস্থ আছেন এবং ঘুমাচ্ছেন। অথচ তখন হজরতের জীবনপ্রদীপ নিবু নিবু অবস্থায়। হজরত বেহুশ ছিলেন, মুখ দিয়ে অনবরত ফেনা বের হচ্ছিল।

অ্যাম্বুলেন্স আসার পর আন্দোলনকারীদের একজন এসে বলে, হুজুরের সাথে শুধুমাত্র একজন যেতে পারবে। তখন নাতি ও খাদেম শফিউল বলে, হজরতের সার্বিক দেখভাল করা একজন দ্বারা সম্ভব নয়। কমপক্ষে ৩ জনকে যেতে দিন। আন্দোলনকারীরা ফোনে তাদের আমিরের সাথে কথা বলে হজরতের সাথে অ্যাম্বুলেন্সে খাদেম শফি যেতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত জানায়।
অ্যাম্বুলেন্স মাদরাসার কবরস্থানের গেট সংলগ্ন বাইতুল আতিক মসজিদের সামনে রাখায় বিলম্ব ঘটে। স্ট্রেচারে নেয়ার সময় হজরতের মুখে অক্সিজেন লাগানো ছিলো, তারা মুখ থেকে টান মেরে এক্সিজেন খুলে ছিড়ে ফেলে। খাদেম হুজাইফা হজরতের সাথে উঠেছিলেন, তাকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করে নামিয়ে দেয়। শুধু নাতি আরশাদ একাকী হজরতকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করা মাত্র আন্দোলনকারীরা নতুন দাবি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে।

তারা বলতে থাকে, যদি স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এই মর্মে স্বাক্ষর না করে যে, ভবিষ্যতে আন্দোলনকারীদের কোনো ক্ষতি হবে না, ততক্ষণ অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেয়া হবে না। তখন সময় রাত ১১টার উপর। অথচ হজরত স্ট্রোক করেন সাড়ে আটটা থেকে নয়টার দিকে। হজরতের অক্সিজেনের তার ছিড়ে ফেলায় অবস্থা আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। হুজুর একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। ওসি সাহেবের সাথে আন্দোলনকারীদের মিটিং শেষ হলে হজরতের অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিতে মসজিদের মাইকে কয়েকবার ঘোষণা দেয়া হয়।
রাত ১টা ৩০ মিনিটে হজরতকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলতে থাকে। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, দুপুর ১২টায় ডাক্তারগণ জানান, আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ।

শুক্রবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসে। হজরতকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর সময় নাজুক দেখাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার আগেই ঢাকায় পৌছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং হজরতকে আসগর আলী হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর ছোট ছেলে আনাস মাদানীর হাতের উপর হজরত ইন্তেকাল করেন।

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দীন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে, এমন দাবি করেন তিনি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়