রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

আল্লামা শফীর মৃত‌্যুর আগে নাতীকে নির্মম নির্যাতন

আল্লামা শফীর মৃত‌্যুর আগে নাতীকে নির্মম নির্যাতন

হেফাজতের আমীর আল্লামা শফীর মৃত্যুর আগে মামুনুল-বাবু নগরীর অনুসারীরা হুজুরের নাতি আশরাদকে জিম্মি করেছিল। তারা বলে, ‘আপনাকে মসজিদের মাইকে বলতে হবে যে, হুজুর সুস্থ আছেন, হামলা হয়নি। এ মর্মে ভিডিওবার্তাও দিতে বলে। তারা দুই পৃষ্ঠার একটি ঘোষণা লিখে নিয়ে আসে। খাদেম শফিকে মেরে বাধ্য করা হয় ভিডিওবার্তা দেওয়ার জন্য। নাতি আসাদকে হজরতের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে নির্মম নির্যাতন করা হয়। হজরত তখন অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলেন আর চোখ বেয়ে অঝাোরে পানি পড়ছিল।

তারা ওয়েটিং রুমের চারটি দুই টনি এসি, দুটি টি টেবিল ছাড়া সব টেবিল, প্লেট-গ্লাস সহ যাবতীয় আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। হজরতের যত সম্মাননা পদক ছিল আধিকাংশ পদক নষ্ট করে ফেলে। এমন কি হারামাইন কর্তৃক উপহার দেয়া কাবাঘরের বাঁধাই করা গিলাফও ভেঙে চুরমার করে ফেলে। কামরার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলে। হুজুরের কামরার আইপিএস- এর যে ব্যাটারি ছিল সেগুলো নষ্ট করে ফেলে।

মূলত যে সকল শিক্ষকের কামরা থেকে তারা টাকা-পয়সা লুটপাট করেছিল তার অধিকাংশই তাদের ব্যক্তিগত বা বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় প্রদান করা অন্যের আমানতের টাকা। যেমন: মাওলানা উমর সাহেবের রুমে তার মেয়ে ও স্ত্রীর ২০ভরি স্বর্ণ, হুজুরের নিজের এবং মানুষের আমানত ৪০ লাখ টাকা তারা লুট করে (যদিও পরে পাঁচ ভরি স্বর্ণ ফিরিয়ে দেয়)। মাওলানা নুরুল ইসলাম (কক্সবাজার) হুজুরের রুমে তিন জুমার কালেকশন ও ব্যক্তিগত টাকা মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা, মুফতি উসমান সাহেবের রুম থেকে দুই মাসের বেতনসহ মোট ৬০ হাজার টাকা, দিদার সাহেবের কামরা থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং আনাস সাহেবের রুম থেকে ২৮ লাখ টাকা তারা লুট করে।

মাগরিবের পর সন্ত্রাসীরা শুরা সদস্যদের ডেকে বৈঠকের ব্যবস্থা করে। শুরা সদস্যরা হুজুরের কামরায় আসতে থাকেন। আমির আহমদ শফী, মুহিব্দুল্লাহ বাবুনগরী ও ২০০৪ সালে সর্বসম্মতিক্রম শুরার যে সকল সদস্যকে বহিষ্কার করেছিলেন, সেই সমস্ত বহিস্কৃত সদস্যগণও উপস্থিত হন।

সন্ধ্যা সাতটা আটটার দিকে বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরই হজরত অসুস্থ হয়ে পড়েন। হজরতের শরীর ঠান্ডা ও নিথর হয়ে যায়। হজরতের নাতি আরশাদ ও খাদেম মাওলানা শফিউল আলম শুরা সদস্যদের কাকুতি মিনতি করে অনুরোধ করেন, ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিতে। বারবার অনুরোধ করার পরও মিটিং শেষ করতে আধা ঘণ্টা বিলম্ব করায় হজরতের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। কিন্তু শুরা সদস্যদের কেউ হজরতকে বের করার জন্য এগিয়ে আসেনি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়