রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২৫ জুলাই ২০২০

ঈদের আগে খুলছে না বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র

ঈদের আগে খুলছে না বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র

বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র


পাহাড়ের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কারণে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের জায়গা বান্দরবান। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম এ পর্যটনকেন্দ্র। ২১ দিনের লকডাউন শেষ হলেও বান্দরবান শহর এখনো রেডজোনে রয়েছে। ঈদুল আজহার আগে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খোলার সম্ভাবনা নেই।

পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল চত্বর ঢেকেছে সবুজ ঘাসে। দীর্ঘদিন ঘাস না কাটায় ইট বিছানো সড়ক ও মাঠ হয়ে উঠেছে জঙ্গলাকীর্ণ। এতে নষ্ট হচ্ছে নীলাচলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।

 

নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র

 

নীলাচলের অবস্থান বান্দরবান শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে দেখা যায় গোটা বান্দরবান শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০০ ফুট উচ্চতার এ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ছোঁয়া যায় মেঘও। সারা বছর পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড়ে সরগরম থাথা নীলাচল এখন বুনো লতা ও ঘাসে ভরা।

নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের কর্মচারী উলাফো চাকমা জানান, চত্বরের ঘাস লম্বা হচ্ছে। বারবার কাটতে হয়। জঙ্গলের মত হয়ে আছে নীলাচল চত্বর। পর্যটক থাকলে এই পরিবেশ হতো না। করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় এ অবস্থা হয়েছে।

নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের টিকেট সরবরাহকারী আদীপ বড়ুয়া জানান, স্বাভাবিক সময় বর্ষাকালেও পর্যটক থাকতো। বৃষ্টির সময় পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটক ও স্থানীয়রা ছুটে আসতো।

 

মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র

 

নীলাচলের মতো অবস্থা জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের। চার মাসের বেশি সময় পর্যটকশূন্য হয়ে আছে মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি।

মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের হলিডে ইন রিসোর্টের পরিচালক জাকির হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চ থেকে রিসোর্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিদিন লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ লোকসান কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াইজংশনের সাইরু হিল রিসোর্টের ম্যানেজার মোস্তফা কামাল জানান, সাইরুতে ১০০ জনের বেশি পর্যটক থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পর্যটক পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

 

নীলগিরি পাহাড়ে ভাসছে মেঘ

 

বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, হোটেল-মোটেল বন্ধ এবং পর্যটক না থাকায় প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে জেলার পর্যটন খাত বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বর থেকে মার্চ এই চার মাস পর্যটন মৌসুম। এ সময় পর্যটন খাতে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হতো। এছাড়া বছরের অন্য সময় প্রতিদিন ১৬-১৭ লাখ টাকা লেনদেন হতো। করোনাভাইরাসের কারণে সব থমকে আছে।

বান্দরবানের এডিসি (সার্বিক) শামীম হোসেন জানান, ২১ দিনের লকডাউন শেষ হলেও করোনাভাইরাসের কারণে বান্দরবান শহর এখনো রেডজোনের আওতায়। ঈদুল আজহার আগে জেলার কোনো পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সরকার ঘোষিত ভাড়ায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমিত দেয়া হয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি