রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৬ জুন ২০২০

এই গ্রামের সবাই বধির, কথা বলে ইশারায়!

এই গ্রামের সবাই বধির, কথা বলে ইশারায়!

ছবি: গ্রামের বাসিন্দারা


অবাক কাণ্ড! এক গ্রামের সবাই বধির। কেউ কানেও শোনে না আবার কথাও বলতে পারে না। এমন কীভাবে সম্ভব? তবুও থেমে নেই তাদের জীবন। কথা বলতে পারেন না তাতে কি? সেখানকার সব বাসিন্দারাই ইশারায় সাংকেতিক ভাষায় কথা বলেন।

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উত্তরে অবস্থিত এই গ্রামের নাম বেংকালা। এই গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস। বর্তমান বিশ্বের অনেক মানুষই এই গ্রামটি সম্পর্কে জানেন। একে বধিরদের গ্রাম বা ‘দ্য ভিলেজ অব ডিফ’ বলেই চেনেন। 

 

শিক্ষকও ছাত্রদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলে

 

এই গ্রামের বাসিন্দারা অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত দারিদ্র। চাষাবাদ আর পশুপালনই তাদের প্রধান জীবিকা। পর্যটন থেকেও আংশিক উপার্জন হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামে আসা পর্যটকদের সঙ্গেও ইশারায় যোগাযোগ করেন বেংকালার বাসিন্দারা।

গ্রামের বাসিন্দারা যে সাংকেতিক ভাষায় পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে সেটি কাতা কোলক নামে পরিচিত। এই গ্রামে কয়েকজন সুস্থ বাসিন্দাও রয়েছেনে। তারা কথা বলতে পারলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য তারাও ইশারায় কথা বলে।

 

সুস্থ ব্যক্তিরাও ইশারায় কথা বলে

 

এই কাতা কোলক ভাষা বেংকালা গ্রামের ঐতিহ্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সেখানকার বাসিন্দারা আন্তর্জাতিক সাংকেতিক ভাষাও শিখছেন। দেশ-বিদেশ থেকে এই গ্রামে আসা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হলো জাঞ্জের কোলক বা বধিরদের নৃত্য।

তবে একই গ্রামে এতো বধির মানুষ থাকার রহস্য ভেদ করে বিজ্ঞানীদের জানায়, এরা সবাই এক বিরল জিনগত ত্রুটির শিকার। এই বিশেষ জিনগত ত্রুটিকে বিজ্ঞানীরা ডিএফএনবিথ্রি নামে চিহ্নিত করেছেন। এই জিনগত ত্রুটির কারণে মানুষের শ্রবনশক্তি কম বা বধির হন। এই জিনের কারণেই মূলত বেংকালা গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই বধির।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়