রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

একই স্থানে কবর-শ্মশান ঘাট

একই স্থানে কবর-শ্মশান ঘাট

ছবি: সংগৃহীত


বগুড়ার নন্দীগ্রামের পাঁচ ইউপি ও একটি পৌরসভা মিলে মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এখানে নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ তারা মিলেমিশে একই সমাজে বসবাস করছে। নন্দীগ্রামের অসাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো একই স্থানে মুসলমানদের কবরস্থান ও হিন্দুদের শ্মশান ঘাট। 

প্রায় দুইশ বছর ধরে সম্প্রীতির নিদর্শন বহন করছে পূর্ব কুচাঁইকুড়িতে পাশাপাশি গড়ে ওঠা মুসলমানদের কবরস্থান ও হিন্দুদের শ্মশান ঘাট। নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার (বগুড়া-নাটোর) মহাসড়কের কাছে পূর্ব কুচাঁইকুড়িতে এ কবরস্থান ও শ্মশান ঘাট। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ওই স্থানে মুসলমান ও হিন্দুদের মরদেহ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীই দাফন ও সৎকার করা হয়। দশটি গ্রামে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার হিন্দুদের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। ধর্ম নিয়ে তাদের মধ্য কোনো মতবিরোধ নেই বলে দাবি করেন এলাকাবাসীরা। 

কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটে তারা সম্প্রীতির বন্ধন থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। কবর স্থানের কারো দাফন ও শ্মশানে কারো সৎকার করার সময় একে অপরকে সহযোগিতা করে। তবে কখন এই কবরস্থান ও শ্মশান ঘাট স্থাপিত হয়েছে এ বিষয়টি কারো জানা নেই। 

নন্দীগ্রাম পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, যুগ যুগ ধরে এখানে মুসলমান দাফন ও হিন্দুদের সৎকার করা হচ্ছে। এ নিয়ে কখনও কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্মের নিময়-নীতি মেনে দাফন ও সৎকার করে আসছে। এখানে কোন মত পার্থক্য নেই।  

পুর্ব কুচাইকুড়ি মন্দিরের পুরোহিত রঞ্জিত কুমার জানান, কবর ও শ্মশান পাশাপাশি অবস্থিত। পূর্ব পুরুষরা সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ পাশাপাশি এই কবরস্থান ও শ্মশান ঘাট করে গেছেন। দুই ধর্মের মানুষ এখানে তাদের নিজ ধর্ম অনুযায়ী দাফন ও সৎকার করে। এখানে ধর্ম পালনে কারো কোনো সমস্যা হয় না। 

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম পৌরমেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জানান, পূর্ব পুরুষরা এটি স্থাপন করে গেছেন। তখন থেকে একই স্থানে দাফন ও সৎকার হচ্ছে। নন্দীগ্রাম পৌরসভার অর্থায়নে কুচাইকুড়ি কবর ও শ্মশানে যাওয়ার জন্য ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি সড়ক নির্মিত হবে। এছাড়াও শ্মশানের জন্য চুল্লি ও কবর স্থানের পুকুর ঘাটের কাজ চলছে। 

তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে। 

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়