রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ২৪ মে ২০২০

এবার ঈদে কাপ্তাইয়ের বিনোদন স্পটগুলো থাকবে পর্যটক শূন্য

এবার ঈদে কাপ্তাইয়ের বিনোদন স্পটগুলো থাকবে পর্যটক শূন্য

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- অপরুপ সৌন্দর্যমন্ডিত কাপ্তাইয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ। এখানে রয়েছে উঁচু-নিচু পাহাড় আর পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা শীতল জলের কর্ণফুলী নদী, এই নদী ও হ্রদের ধারে গড়ে উঠেছে চোখ জুড়ানো,মন ভুলানো অপূর্ব সুন্দর বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র।

প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকের ঢ়ল নামলেও এবার পর্যটক শূন্য হয়ে হাহাকার করবে পর্যটন কেন্দ্র গুলো। অবশ্য ইতিমধ্যে বিশ্ব করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক গত ২৫ মার্চ থেকে দেশের সবধরনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। 

প্রাকৃত্তিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কাপ্তাইয়ে রয়েছে অনেক জনপ্রিয় পর্যটন স্পটসমূহ। যেখানে কাপ্তাই ছাড়াও রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটতো ঈদ উপলক্ষ্যে। কিন্তু এবার যেন অন্য রকম একটা সময় চলছে। যেটি এরআগে কখনও কাপ্তাইয়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসেনি। কারণ এই প্রথম ঈদে পর্যটক শূন্য হয়ে থাকবে কাপ্তাইয়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলি। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার পর্যটকদের আগমনের আনন্দে প্রাণ ফিরে পেলেও এবার সেই স্পট গুলো পর্যটক শূন্য হয়ে প্রাণহীন পড়ে থাকবে।

শুধু তাই নয়, এই ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যটকের আগমনে অনেক অর্থ আয় হতো কাপ্তাই পর্যটনকেন্দ্র গুলোর। কিন্তু এবার আয় তো হচ্ছেই না বরং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যটন কেন্দ্র গুলো প্রায় ২ মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার ফলে গুনতে হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি। যার প্রভাব বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কাপ্তাই উপজেলায় বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম কাপ্তাই প্রশান্তি পার্ক, জুম রেস্তোরা, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র, লেক প্যারাডাইস, লেকশোর পিকনিক স্পট, জীবতলি পিকনিক স্পট, বেরাইন্না লেক, লেকভিউ আইলেন্ডসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন স্পট।

কাপ্তাই শীলছড়ি বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে প্রায় ৩ মাস হলো বনশ্রী কমপ্লেক্সসহ কাপ্তাইয়ে সব কয়টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছর ঈদে হাজার হাজার পর্যটক কাপ্তাইয়ে আসতো। এবার সেই সম্ভাবনা নেই। ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তিনি আরো জানান, ঝড়ো হাওয়ায় কর্নফুলির নদীর ধারে অবস্থিত বনশ্রী কমপ্লেক্সের কটেজ গুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে, কাপ্তাই বালুচরে অবস্থিত প্রশান্তি পিকনিক স্পটের পরিচালক কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, কাপ্তাইয়ের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পর্যটন মৌসুম ছাড়াও সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকতো। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামতো। কিন্ত এবার করোনার প্রকোপে পর্যটক শূণ্য থাকবে কাপ্তাই। ফলে আমরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

কাপ্তাই ফোরামের এডমিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এআর লিমন জানান, নয়নাভিরাম কাপ্তাই লেক, কর্নফুলি নদী, পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কেপিএম মিল, সীতাপাহাড়, ওয়াগ্গা চা বাগান, চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারসহ কাপ্তাইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সৌন্দর্য্য। তাই তো সারা বছর কাপ্তাইয়ে পর্যটকের আনাগোনা থাকতো। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপে কাপ্তাই থাকবে পর্যটক শূণ্য হয়ে। তিনি আরো বলেন, একদিন সেই মেঘ কেটে যাবে, আবার উঠবে সোনালী সূর্য্য, আবার কোলাহল হবে কাপ্তাইয়ের প্রতিটি বিনোদন স্পট- সকলের এমনই প্রত্যাশা।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়