রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৫ মার্চ ২০২০

করোনার নতুন উপসর্গ স্বাদ ও গন্ধহীনতা

করোনার নতুন উপসর্গ স্বাদ ও গন্ধহীনতা

অবসন্নতা, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। এগুলোই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ বা উপসর্গ বলেই বলা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা নতুন দুটি উপসর্গের দেখা পাচ্ছেন। এ দুটি হলো স্বাদহীনতা ও গন্ধহীনতা। এমনও হচ্ছে যে অন্য কোনো লক্ষণ নেই। কিন্তু এ দুটির একটি বা উভয়টি আছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিভাগ এ কথা বলছে। যুক্তরাজ্যের নাক, কান ও গলাবিষয়ক চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশন ইএনটি ইউকেও একই উপসর্গ পাচ্ছে।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জেরোমি সালোমন জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন উপসর্গ তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে নাকের বা নাসারন্ধ্রের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু হঠাৎ গন্ধশক্তি হারিয়ে ফেলছেন। পরে পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত। যদিও এ উপসর্গ খুবই সীমিত রোগীর মধ্যে আছে। এ ছাড়া আরও একটি উপসর্গ হলো খাবারের স্বাদ হারিয়ে ফেলা। কারও কারও এ দুটি উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দিচ্ছে। তবে এ উপসর্গ দুটি বেশি দেখা যাচ্ছে তরুণ রোগীদের মধ্যে।

ইএনটি ইউকে বলেছে, যেসব সন্দেহভাজন রোগী আইসোলেশনে আছে, স্বাদ ও গন্ধহীনতাকে তাদের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে যোগ করা উচিত। ইএনটি ইউকে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা নতুন একটি উপসর্গ শনাক্ত করেছি । তা হলো স্বাদ বা গন্ধ হারানো। এর মানে হলো, যাদের অন্যান্য কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু স্বাদ বা গন্ধ পাচ্ছে না, তাদেরও এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকতে হবে।’

যুক্তরাজ্যের নাক, কান ও গলাবিষয়ক খ্যাতনামা চিকিৎসক নির্মল কুমার বলেছেন, শরীরে করোনাভাইরাসের মূল প্রবেশপথ নাক। তরুণ অনেকে সংক্রমিত হলেও তাঁদের জ্বর বা ঠান্ডা-কাশির উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু ভাইরাসটি নাকে প্রবেশ করায় সংক্রমিত ওই তরুণেরা স্বাদ ও গন্ধশক্তি হারাতে পারেন।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বাসিন্দা ভ্যালেরি ব্যারাল্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ৫৯ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে খাবার খাচ্ছি, কিন্তু কোনো স্বাদ পাচ্ছি না। এটাই এখন আমাকে ভোগাচ্ছে।’

সূত্রঃ প্রথম আলো

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়