রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৩ জুন ২০২০

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের সাধারণ ছুটি ও লকডাউন

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের সাধারণ ছুটি ও লকডাউন

ফাইল ফটো


দীর্ঘ দুই মাসের বেশি ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এমন অবনতি হতে থাকলে পুনরায় সাধারণ ছুটি দেয়া হবে। এছাড়া আসবে লকডাউনের ঘোষণাও।

সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ আভাস পাওয়া গেছে। 

তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেবে। তবে দিনদিন যেভাবে করোনা রোগী বাড়ছে, এমন চলতে থাকলে আবারও সাধারণ ছুটি বাড়ানো হবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন, কঠোরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংক্রমণের এই মাত্রা আরো বাড়লে পুনরায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া লকডাউনও দেয়া হবে। এসব  কার্যকর করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়াও হবে। সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। 

এদিকে, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার অনুযায়ী সারাদেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। 

জানা গেছে, যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি সেসব এলাকাকে লাল বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই এলাকার লোকদের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। বাইরে থেকেও রেড জোনে লোকদের প্রবেশ সীমিত করার উদ্যোগ নেবে সরকার। 

আর যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ কম, সেসব এলাকাকে হলুদ বা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এসব এলাকার আক্রান্তদের ঘরবাড়ি লকডাউন করে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো হবে। 

আর যেসব এলাকায় এখনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি, সেসব এলাকায় যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, এখনো জোন করা হয়নি। ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। যদি কোনো জোন রেড হয় সেগুলো রেড করা হবে। তবে কোন এলাকা কোন জোনে পড়বে তা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞরা।

এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোনের মাধ্যমেই সব করা হবে। যেখানে বেশি সংক্রমিত হবে সেখানে কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেভাবেই আমরা কাজ করবো। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রতিদিন টেস্ট বাড়ছে, রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধ করতে হবে। এর জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী আমরা একটা  পরিকল্পনা তৈরি করে দেবো। এ বিষয়ে নীতিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। এ পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিলে বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জোন ভাগ করা হবে। যে জোনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হবে, সেই এলাকাটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন আমরা সেভাবে কাজ করবো।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়