রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৫ মে ২০২০

করোনা মুক্তির কাপড় বানাল বাংলাদেশ

করোনা মুক্তির কাপড় বানাল বাংলাদেশ

ছবি- সংগৃহীত


অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে পুরো বিশ্ব এখন হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভ্যাকসিন তৈরি করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের দুই বিজ্ঞানী ভাইরাসটির জীবনরহস্য উদ্ঘাটন করেছেন।

এ খবরের রেশ না কাটতেই বিশ্বকে আরেকটি সাফল্যের খবর জানান দিল বাংলাদেশ। সেটি হলো- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি। বিশ্বে প্রথম এ ধরনের কাপড় তৈরি করেছে দেশীয় নোমান গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স।

এ কাপড়ে ২ মিনিটের মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে। আড়াই মাস ধরে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স ও সুইজারল্যান্ডের বড় দুটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ফসল এটি।

আন্তর্জাতিক ল্যাবে এর কার্যকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে। আগামী মাসেই এ কাপড় দেশীয় বাজারে আসবে বলে মনে করছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে নিজেদের অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কাপড় উন্মোচন করা হয়।

এ সময় প্রতিষ্ঠানটির চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার রাশিদ আশ্রাফ খান বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরাই বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ারোধক কাপড় তৈরি

করতে সক্ষম হয়েছি, যা দুই মিনিটের মধ্যে যে কোনো ধরনের ভাইরাস ৯৯ শতাংশ নষ্ট করতে সক্ষম। মূলত এ কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনা ভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না।

প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অনল রায়হান বলেন, সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ভাইরাস প্রতিরোধক এ কাপড় ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষায়িত হওয়ায় এ কাপড়ে তৈরি পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হবে। এ কাপড়ের পোশাক ২০-৩০ বার পর্যন্ত ওয়াশ করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে তাদের এ কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত।

বিশেষ এ কাপড় মাস্ক, পিপিই, মেডিক্যাল গাউন এবং বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি জিন্স ও ওভেন কাপড়ে এ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে প্যান্ট ও শার্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যায়। এ কাপড় ওয়াশযোগ্য, মসৃণ, কোমল এবং সহজেই বাতাস ভেদযোগ্য। এটি শতভাগ সুতি কাপড়, যাতে ত্বক নিরাপদ থাকবে।

উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ কাপড় নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে প্রাথমিকভাবে রপ্তানিও শুরু হয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ