রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১৮ জুন ২০২০

করোনার প্রথম কার্যকর ওষুধকে স্বাগত জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনার প্রথম কার্যকর ওষুধকে স্বাগত জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ছবি: সংগৃহীত


যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো কার্যকর ওষুধ পাওয়া গেছে। হাল্কা ডোজের স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন নামক ওষুধটি করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের এক তৃতীয়াংশের প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে।

বুধবার এই ওষুধকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাধনম গেব্রিয়াসেস বলেছেন, অবশেষে আমরা একটি ভালো খবর পেয়েছি। যুক্তরাজ্যে একটি ওষুধের প্রাথমিক ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল এসেছে। করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন নামক একটি কমন স্টেরয়েড প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া গেছে। আমি যুক্তরাজ্য সরকার, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অসংখ্য হাসপাতাল ও রোগীদের অভিনন্দন জানাই, যারা জীবনরক্ষাকারী এ আবিষ্কারে অবদান রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, গবেষকরা তাদের প্রাথমিক গবেষণায় যে ফল পেয়েছিল সেটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিল। সেটা থেকে জানা গিয়েছিল যে যেসব রোগী আইসিইউতে ভর্তি এবং যাদের ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হচ্ছিল, ডেক্সামেথাসোন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রতি পাঁচজনে একজন মারা গেছে। এটা আসলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য সুখবর। তবে, নিবিড় মেডিকেল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই কেবল এই ওষুধটি প্রয়োগ করে দেখা উচিত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ডেক্সামেথাসনকে করোনা রোগীদের ‘জীবনরক্ষাকারী ওষুধ’ বলে ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। ফলে ওষুধটি দামে সস্তা হলেও পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশগুলো। যদিও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রয়েছে ডেক্সামেথাসন। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কিছু চিকিৎসক। এ বিষয়ে আরো তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, যেসব দেশে এই ওষুধটি ব্যবহারের উপকারিতা পাওয়া গেছে, তাদের উচিত এটা শুধু গুরুতর কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা।

তিনি এক ব্রিফিংয়ে আরো বলেন, করোনা উপশমের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রয়েছ ডেক্সামেটাসনের। তাই যারা কোভিড আক্রান্ত হয়ে গুরুতরভাবে ভুগছেন এবং অবস্থা সংকটাপন্ন, শুধু তাদের জন্যই এই ওষুধ সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে যদি ওষুধটি পাওয়া যেত, তাহলে সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।

আলোকিত রাঙামাটি