কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ- কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিনকে মিথ্যা বন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার এলাকায় ‘নাছির মুক্তি পরিষদ’র ব্যাণারে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নাসিরের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।

নাসির মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক আক্তার আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকি, কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম, নূর উদ্দিন সুমন, কাপ্তাই ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ প্রমূখ।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন, কাপ্তাই ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহাদুল আলম। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পাহাড়ের জনসাধরণকে সামান্য নাম এবং বাবার নাম জানা থাকলেই মামলাসহ নানা ভাবে হয়রানী করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন বক্তারা।

এদিকে, নাসিরের বিরুদ্ধে আনিত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে নাসির ভাইয়ের যে জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি রয়েছে, তা ধ্বংস করতে কিছু মহল কাজ করছে। যেকারণে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য না হলেও আজ তাকে কারাবাস করতে হচ্ছে। কোন এক অদৃশ্য শক্তি নাসির উদ্দিনকে কারাবাস করতে বাধ্য করছে বলে দাবি করে বক্তারা আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আইনের লঙ্ঘন চাইনা। তবে অন্যায় ভাবে নাসির উদ্দিনকে কারাবাসের ঘটনা প্রতিটি সচেতন নাগরিকের হৃদয়ে কম্পনের সৃষ্টি করেছে। 

আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নাসির উদ্দিনকে মুক্তি না দিলে কঠোর থেকে কঠোর আন্দলনের হুঁশিয়ারীর ইঙ্গিত করে বক্তাগণ বলেন, যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে এমন কর্মসূচী গ্রহণ করবো যেনো বন বিভাগ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল মহল ওনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে রাঙামাটি আদালতে বন মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হয় কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন। আদালত তাকে ৩ বছরের সাজাসহ ৩০ লাখ টাকা অর্থ জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেল দেয়।