রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৪ জুন ২০২০

কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন

কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বালুচর বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন প্রশান্তি পর্যটন কমপ্লেক্সের সামনে সয়ংক্রিয় ষ্প্রে মেশিনের সাহায্যে জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করেছেন। জীবাণুনাশক ট্যানেল ব্যবহার করে পথচারী ও যানবাহনে সরাসরি জীবাণুনাশক ছিটানোর উদ্যোগকে কাপ্তাইবাসী স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।  

জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপনকারী কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলি পেপার মিলস, পর্যটন এলাকাসহ নানা কারনে কাপ্তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এই এলাকায় প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আগমন ঘটে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও করোনার বিস্তার রোধে তিনি স্ব-প্রণোদিত হয়েই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং অনেকে তাকে সহায়তা করছেন এ কাজে।

কাপ্তাই উপজেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মোঃ আব্দুল্লাহ ও মোঃ করিম জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতিপূর্বেও করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উপায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কাপ্তাইয়ের প্রবেশ পথে ট্যানেল স্থাপন করায় গাড়ি চালক ও যাত্রীদের জীবাণুমুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গাড়িতে জীবাণুনাশক রাখতে ভুলে গেলে এখান থেকেই জীবাণুমুক্ত হতে পারি।

কাপ্তাই উপজেলার বগারচর এলাকার বাসিন্দা ও আইটি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূযোর্গে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করে তিনি কাপ্তাইবাসীকে করোনা প্রতিরোধে একধাপ এগিয়ে রেখেছেন। 

জানা যায়, ৮টি স্বয়ংক্রিয় ষ্প্রে মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিন ব্লিচিং পাউডার ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশ্রিত ৫ হাজার ৬শ' লিটার জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এই প্রকল্প স্থাপন করতে তার আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন, কেমিক্যাল মিশ্রন, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিদ্যুৎ বিল বাবত তার প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

আলোকিত রাঙামাটি

সম্পর্কিত বিষয়: