রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ১১ মে ২০২০

কৃষকের গোলা ভরেছে ॥ স্বস্তিতে সরকার, দেশের মানুষ

কৃষকের গোলা ভরেছে ॥ স্বস্তিতে সরকার, দেশের মানুষ

কি দুশ্চিন্তার মধ্যেই যাচ্ছিল দিনগুলো। একে করোনা আবার ভারি বৃষ্টির চোখ রাঙ্গানি। কৃষকের সঙ্গে সরকার এবং দেশের মানুষেরও ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে। হওয়ারই কথা। কেননা, করোনা পরবর্তী দিনগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বোরো ধানই যে ভরসা। আর সেই ভরসার বিশ ভাগ জোগান দেয় হাওড়ের ধান। সঠিক দিক নির্দেশনায় হাওড়ের ধান ঘরে উঠানো গেছে। ধানের বাম্পার ফলনে ভরে গেছে কৃষকের গোলা, মুখে ফুটেছে হাসি। আর কৃষকের হাসিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে এখন স্বস্তিতে আছে সরকারও। হাওড়ের প্রায় শতভাগ (৯৮শতাংশ) ধান কাটা শেষ আর সমতলে ৩৩ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। স্বস্তিতে কৃষক, স্বস্তিতে সরকার, স্বস্তিতে গোটা দেশের মানুষ।

জানা গেছে, দেশের মোট চালের অর্ধেকের বেশি প্রায় ৬০ ভাগ আসে এই বোরো আবাদ থেকে। আর বাকি ৪০ ভাগের মতো আসে আমন ও আউশ থেকে। খাদ্যসংগ্রহের বড় জোগান এই বোরো ধান কাটা শুরুর পর থেকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়িয়ে কৃষকের গোলায় ধান তুলে দেয়ার চেষ্টায় নানা দিক নির্দেশনা দেয় সরকার। ধান কাটার এই কর্মযজ্ঞে ব্যবহার করা হয় ৮৭৯টি ধান কাটার যন্ত্র। এছাড়াও সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক অংশ নেন। করোনায় পরিবহন সঙ্কট থাকলেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় শ্রমিক আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নিদের্শনা দেন আর মনিটর করেন। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। ফলে এক সময় শঙ্কা থাকলেও বিশাল কর্মযজ্ঞটি পরিণত হয় উৎসবে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিতে মাঠে নামেন।

হাওড়ের ধান নিয়ে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য হচ্ছে কৃষকের গোলা ভরে গেছে সোনালি ধানে। কেটে গেছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। কৃষক থেকে শুরু করে তত্ত্বাবধান করা কর্মকর্তারা সবাই খুশি। আর কৃষকের খুশিতে এখন বেশ স্বস্তিতে আছে খাদ্য উৎপাদনে জড়িত কৃষি মন্ত্রণালয় তথা সরকার।

এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা হাওড়ের ধান কাটা নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম আল্লাহর রহমতে সবার সহযোগিতায় এখন সে দুশ্চিন্তা নেই। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমে আমরা হাওড়ের ধান ঘরে উঠাতে পেরে কৃষক যেমন খুশি আমরাও খুশি। আমরা মনে করি, আগামী ৭-৮ মাস আর খাদ্য সঙ্কট হবে না। এরপর আউশ আমনেও সর্বোচ্চ গুরুত দেব। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, সারা বিশে^ই খাদ্য সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন অধিক খাদ্য উৎপাদনের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে অন্যান্য দেশে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারব। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কৃষকের ধান উঠাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ফলে দেশে একটা সামাজিক সচেতনতা তৈরি হয় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অনেকেই এগিয়ে আসে। আমরা উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক সরবরাহ করি, যন্ত্র সরবরাহ করি যার ফলে করোনার মধ্যেই হাওড়ে ধান কাটার এক উৎসবমুখর পরিবেশ হয়। হাওড়ের সেই পরিবেশ এখন সমতলেও লেগেছে। আমরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই আউশ আমন নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কৃষক ভাল ধানের দাম পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

হাওড়ের ধান উঠাতে পেরে সরকারের স্বস্তি নিয়ে কথা বলেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, কৃষকের ঘরে ধান উঠিয়ে সরকার আমাদের মন্ত্রণালয় কয়েকটি কারণে স্বস্তি পাচ্ছি। প্রথমত টোটাল বোরোর একটা বড় অংশ ৩৫ লাখ টন চাল পাই। যা হাওড়ের ধান উঠানো জরুরী। নয়তো খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় যার চাপ এত বেশি পড়ে যে বিদেশ থেকে চাল আনতে হয়। পরবর্তীতে দু’তিন বছর চাপ সামলাতে হয়। দ্বিতীয়ত, হাওড়ের প্রধান ফসল এটি। কৃষকরা বোরো ধানটি উঠাতে না পারলে করোনাকালে সরকারের ওপরে যে চাপ প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখা সহযোগিতার মাধ্যমে সেটি বেড়ে যেত। ধানটি উঠার ফলে হাওড় এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতায় এই চাপটি সরকারের অনুভব হবে না। কৃষি সচিব বলেন আমরা মনে করছি, করোনা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে পারে সে ক্ষেত্রে ঘরে চাল থাকতে হবে। আর দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বলতে মূলত চালকেই বোঝায়। এর সঙ্গে আলু ডাল তেল দরকার হয় কিন্তু চাল যদি ঘরে থাকে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকে। আমরা মনে করি, এই বোরো ধান ঘরে উঠানোয় খাদ্য নিরাপত্তায় একধাপ এগিয়ে গেল। সারাবছর যে চালের উৎপাদন বোরো বড় অংশ জোগান থাকে। সে হিসেবেও ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তায় সেটি নিশ্চিত করতেও আমরা এগিয়ে গেলাম। সচিব বলেন, এ বছরের অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদভাবে ঘরে উঠানো গেছে। গতবারও উঠেছিল তবে কিছু ধানে চিটা দেখা দেয় এবার সেটি নেই উৎপাদন ফলন ভাল হয়েছে জানান তিনি। ধানের দাম নিয়ে সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত মনে হয়েছে ভাল দাম পেয়েছে। হাইব্রিডের মূল্য একটু কম পাচ্ছে ৬শ’ টাকা করে ২৮ জাতের ধান সাড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা করে ২৯ জাতের দাম পাচ্ছেন ৬৫০-৬৮০ করে দাম পাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে নানা কর্মকৌশল ব্যবহার করে দ্রুত ধান উঠাতে পারায় কৃষিমন্ত্রী এবং কৃষি সচিবকে সফর জুটি হিসেবে দেখছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, প্রধামন্ত্রীর মনিটরিং আর কৃষিমন্ত্রী ও সচিবের সঠিক কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে। দেশের মানুষও তাকিয়ে ছিল এই ধান ঘরে উঠানের দিকে। দেশের সঙ্কট হবে না ভেবে আপামর মানুষের মধ্যেও স্বস্তি রয়েছে।

এদিকে, করোনা পরবর্তী সময়ে সারাবিশে^ই খাদ্য সঙ্কটের কথা বলে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও যাতে খাদ্য সঙ্কট না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন একই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়কে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলেছেন। আপদকালীন দেশের জন্য বোরো ধান ভরসা হিসেবে দেখা দেয়। আর সেই ধান সঠিকভাবে ঘরে উঠাতে তৎপর হয় সবাই। কৃষি সংশ্লিষ্টদের মতে, এই শস্য সঠিকভাবে ঘরে উঠলে দেশের সঙ্কট মিটিয়ে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের দেশে রফতানিও করা যাবে। এছাড়াও সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনায় কড়া নজরদারি থাকলে আগামী কমপক্ষে ৬ মাস খাদ্য সঙ্কটের চিন্তা থাকবে না মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বোরো ধান ঘরে ঊঠানোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছিল হাওড়ের ধানের উপরই। কেননা, সমতলের ধান যে কোনভাবেই ঘরে উঠানো যায় কিন্তু হাওড়ে পানি চলে আসলে ধান ডুবে যায় ফলে অনেক শস্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সঙ্কটের ঝুঁকিও থাকে।

হাওড় আর সমতলের সর্বশেষ অবস্থা ॥ দেশের সাত জেলার হাওড়ের ৯৮ ভাগ ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। কোন জেলায় শতভাগ উঠে গেছে। ছিটেফোঁটাভাবে যা এখনও মাঠে রয়েছে এ ধানগুলো কাটাও এ সপ্তাহে শেষ হওয়ার আশা করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন, দেশের হাওড়বেষ্টিত সাত জেলায় বোরো ধানের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণতো হবেই বরং আরও বেশি হবে। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদ ইফতেখার জনকণ্ঠকে রবিবার বলেন, শনিবার রাতের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুই ভাগ শুধু বোরো নয়, বিভিন্ন জাতের ধান। এগুলো তারা তাদের মতো করে ঘরে তুলবে। আর সমতলে কাটা হয়েছে ৩৩ ভাগ ধান। হাওড় এবং নন হাওড় মিলিয়ে ৭৭.৮৪ ভাগ ধান কর্তন হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের ওই কর্মকর্তা জানান, হাওড়ের সাত জেলার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ যে জায়গা ধরা হয় অর্থাৎ নিচু হাওড়ের ধান উঠাতে শতভাগ ধান কাটা হয়েছে নেত্রকোনা ও হবিগঞ্চে। বি-বাড়িয়া, সিলেট ও মৌলভীবাজারে উঠেছে ৯৯.৫০ ভাগ ধান, সুনামগঞ্জে ৯৭ ভাগ এবং কিশোরগঞ্জে ৯৬ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ধান কাটা শেষ। কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহ দিতে এবং ধান কাটা সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নিয়মিত বিভিন্ন হাওড় এলাকায় বোরো ধান কাটা পরিদর্শনও করেন।

জানা গেছে, সারাদেশের উৎপন্ন ধানের মধ্যে সবার আগে হাওড়ের ধান কাটা শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ধান ঘরেও উঠাতে হয়। এরপরও আগাম বন্যা ভাসায় হাওড়ের ফসল। আর কৃষকরা ভাসে চোখের জলে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে হাওড়ের ধান কাটার নানা পদক্ষেপ নেয়। বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের হাওড়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দ্রুত ধান কাটার জন্য কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করা হয়। লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে অন্য এলাকা থেকে ভারি ভারি মেশিন নিয়ে যাওয়া হয় হাওড় এলাকাগুলোতে। হাওড়ের ধান কাটা শেষে আবার নিজ এলাকায় ফিরবে সমতলেও ধান কাটবে ওইসব মেশিন। সমতলের ধান কাটা শুরু হয়েছে এপ্রিলের ২৫ তারিখ থেকে। এখন ব্যাপক আকারে সমতলের ধান কাটা চলছে। তবে এই সমতল নিয়ে কোন ধরনের দুশ্চিন্তা নেই বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। কৃষি সম্প্রসারণের হাওড়ের একাধিক জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেছেন এবার উৎপাদন যেমন ভাল হয়েছে তেমনি ভালভাবে ধান ঘরে উঠানো গেছে।

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ছিল ॥ করোনার শ্রমিক সঙ্কট দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক পাঠাতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বিভিন্ন জেলায় কৃষি কর্মকর্তাদের শ্রমিক পাঠানোর কথা বলেন। শ্রমিক আনতে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন মন্ত্রী। ফলে, উত্তরে কয়েক জেলা থেকে শ্রমিক আসে হাওড়ে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক এবং ৮৭৯টি যন্ত্রের মাধ্যমে হাওড় অঞ্চলে ধান কাটা হচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্রগুলো বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসব যন্ত্র সরবরাহ করেছে কৃষকদের জন্য। প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার যন্ত্রগুলো হাওড়ে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। সমতলেও এসব যন্ত্র ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক মূল্যে পাচ্ছে কৃষক বাকি অর্ধেক মূল্য দিচ্ছে সরকার। সারাদেশেই কষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টর ও রিপার মেশিনের চাহিদাও বেড়েছে। যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এখন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহও করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক শেখ মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, শুরু থেকেই হাওড়ে মেশিন সরবরাহ করা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মহোদয় নানা ধরনের দিক নির্দেশনা দেন। আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেই যাতে হাওড়ের ধান নষ্ট না হয়। যন্ত্র দিয়ে ধান কাটায় কৃষকদের অর্ধেক অর্থই যেমন সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি সময় লাগছে খুবই কম।

কৃষি সম্প্রসারণে সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক (সদ্য অবসর) চ-ীদাস কু-ু জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার হয়েছে। তবে মাঠের যে ফলন সে হিসেবে আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনের দিনে সারাবিশ্বেই খাদ্য সঙ্কটের যে কথা বলা হচ্ছে তাতে আমাদের দেশের জন্য এই বোরো একটি আশার আলো, ভরসা হতে পারে যদি সঠিকভাবে ফসল ঘরে আনতে পারি। কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আর বিভিন্ন চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন আগে বোরো এই ফসল ভালভাবে ঘরে উঠানো গেলে মজুদ ঠিক রেখে কেউ যেন মূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সরকারকে সংশ্লিষ্টদের সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এই শস্যে ৫-৬ মাস পার করা গেলে আবার আমনের নিশ্চিত ফলন এসে যাবে। এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগ আসবে হাওড়াঞ্চল থেকে। বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে দেশে মোট চাল উৎপাদন হয়েছিল ৩ দশমিক ৬৪ কোটি টন। তার মধ্যে বোরো থেকে এসেছিল শতকরা ৫৪ ভাগ, আমন থেকে ৩৪ ভাগ আর আউশ থেকে এসেছিল আট ভাগ।

সূত্রঃ dailyjanakantha.com

আলোকিত রাঙামাটি