রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ৬ জানুয়ারি ২০২১

ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কাপ্তাইয়ের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা

ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কাপ্তাইয়ের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত না করা এবং অপ্রতুল বরাদ্দে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা।

বুধবার (৬ জানুয়ারী) তিনি তার দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন হতে বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। স্বাভাবিক কারনে জনগণের কাছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে আমার যথেষ্ট দায়বদ্ধতা রয়েছে। অথচ উপজেলা পরিষদের কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সম্পৃক্ত করা হয় না এবং কোন সরকারি বিতরণ অনুষ্ঠানে তাকে অবহিত করা হয় না, এমনকি চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয় না। 

তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে মহিলা ভোটাররা আমাকে বেশী পরিমাণ ভোট প্রদান করেছে, তাই মহিলারা তার কাছে বেশী আসে। কিন্ত কোন বরাদ্দ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনুকূলে না থাকায় আমি তাদের কিছুই দিতে পারি না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা জানান, কাপ্তাই উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া অনেক অসহায় পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে, কিন্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি ঘরও দেওয়া হয়নি। এছাড়া টি আর, কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, ফলে তিনি জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছেন না। 

তিনি সরকারের নিকট প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ত করার দাবি জানান। 

এদিকে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারনে গত অর্থ বছরে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড সরকার করতে পারেনি, তবে যেটুকু অতি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো করা হয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানেন না, উপজেলা পরিষদের আইনে কি কি আছে। কোন খাত হতে কোন বরাদ্দ আছে, কার নামে বরাদ্দ আছে তিনি জানেন না।

উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল হক আরো জানান, এডিবি এবং জাইকার বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুকূলে আসে তিনি ওই কমিটির সভাপতি এবং বাকি গুলোর ক্ষেত্রে তিনি উপদেষ্টা। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড হতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ৮ লাখ টাকা এবং তার নিজের বরাদ্দ ২ লাখ টাকাসহ ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি সরকারি কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।  

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি যোগদানের পর হতে সরকারি প্রতিটি কর্মকান্ডে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সম্পৃক্ত করেছি, চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছি। উনি যদি না আসেন অফিস না করেন তাহলে জানবেন কি করে।

আলোকিত রাঙামাটি