বর্ণিল উদ্বোধন
গেমসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশালযজ্ঞ। জাতীয় পতাকার রঙে শত শত লাইটের আলোয় মুগ্ধতা ছড়াবে যে কারোরই। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চ দেখে অনেকেই হয়তো বলবেন, আন্তর্জাতিক কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। করোনাকালে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের শুরু করাটা অনেক কঠিন ছিল আয়োজকদের জন্য। মনোমুগ্ধকর এবং জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করে অন্তত শুরুর চ্যালেঞ্জটা উতরেছেন আয়োজকরা। নাচে-গানে দারুণ সব পরিবেশনায় মনে রাখার মতো অনুষ্ঠান গতকাল হয়েছে বঙ্গবন্ধুতে। ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে এ গেমসটি হওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, 'যারা বঙ্গবন্ধু গেমস আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অনুরোধ করব, অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই গেমসে অংশ নিতে। আমি চাই না, যারা এখানে এসেছেন কেউ যেন করোনায় আক্রান্ত হন।'
ব্যাপক নিরাপত্তা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৬টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এদিন গেমসের পর্দা উঠলেও মাঠের লড়াই শুরু হয়েছে আগেই। দশ দিনের এই ক্রীড়া আসরে ৩১টি ডিসিপ্লিনে ৩৭৮টি ইভেন্টে পদক জয়ের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ। ৬টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। মিনিট পাঁচেক পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ক্রীড়াঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর বিচরণ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের ক্রীড়াপ্রীতি দেখানো হয়। সেইসঙ্গে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ক্রিকেট, ফুটবলসহ ক্রীড়াঙ্গনের নানা খেলাধুলায় সাফল্যকে ভিজ্যুয়ালি তুলে ধরা হয়। ৭টায় শুরু হয় মার্চপাস্ট। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তর গেট দিয়ে একে একে মাঠে প্রবেশ করেন আট বিভাগের ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথ পাঠ করেন রোমান সানা এবং বিচারকদের পক্ষে শপথ পাঠ করেন আন্তর্জাতিক জুডো জাজ কামরুন নাহার হিরু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক বিওএ'র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। সভাপতির বক্তব্য দেন বিওএর সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তুলে ধরেন ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান সরকারের সাফল্যগাথা। মশাল প্রজ্বালন করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে গেমসে আনুষ্ঠানিক শুরুর ঘণ্টা বাজে।
আলোকিত রাঙামাটি