রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ছয় উপায়ে শিশুকে ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে শেখান

ছয় উপায়ে শিশুকে ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে শেখান

ছবি: সংগৃহীত


চারদিকে এখন একটা বড় আতঙ্ক হচ্ছে ধর্ষণ। যার হাত থেকে রেহাই পায় না শিশুরাও। মেয়ে শিশুর সঙ্গে সঙ্গে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ছেলে শিশুরাও।

শিশুরা অবুজ, তাই নিরবেই সয়ে যায় এই ভয়াল থাবা। এর থেকে মুক্তির উপায়টি তাদের জানা নেই। তাইতো পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের পর্দায় শিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনায় মেলে না সঠিক বিচার। ফলে অপরাধ ও অপরাধীরা সংখ্যায় বাড়ছে।

তাইতো এই ভয়াল থাবা থেকে নিজের শিশু সন্তানকে রক্ষা করার জন্য প্রথম থেকেই তাদের এই বিষয়ে বোঝাতে হবে। কোন স্পর্শটি তাদের জন্য ভালো আর কোনটি খারাপ সেই সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা দিতে হবে। আর এই শিক্ষাটা শুরু করতে হবে ঘর থেকেই। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে কঠিন এই বিষয়টি সহজে তাদের বোঝানো সম্ভব-

খেলতে খেলতে বোঝানো
যে খেলাটি খেলতে শিশুর ভালো লাগে সেই খেলার মাধ্যমেই তাকে বোঝান। যেমন- শিশুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলার বায়নায় তাকে জড়িয়ে ধরুন। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করুন, কেমন লাগছে? মা-বাবা জড়িয়ে ধরলে সব সন্তানেরই ভালো লাগবে। তবে তাকে বলুন, বা-মা ছাড়া অন্য কেউ জড়িয়ে ধরলে তা খারাপ স্পর্শ।

প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে সচেতন করান
খুব ছোট হলে শিশুকে প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে বোঝানো কঠিন। তবে শিশুর বয়স পাঁচ হওয়ার আগেই তাকে প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে বোঝানো জরুরি। তাকেই বোঝাতে হবেই, ওইসব অঙ্গতে হাতে বা অন্য কোনো ভাবে কখনোই আদর করা ঠিক না। এমনকি, কেউ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করেও সেসব প্রাইভেট পার্টে হাত দিতে পারবে না, তা শিশুকে সব সময় বোঝাতে হবে।

অনুমতি নিন
বাবা- মা বা খুব কাছের কেউ যদি শিশুকে গোসল বা জামা পাল্টে দেন, তবে অবশ্যই শিশুর প্রাইভেট পার্টে হাত দেয়ার আগে তার অনুমতি নিয়ে নিন। এতে শিশু শিখবে, অনুমতি ছাড়া মা-বাবাসহ অন্য কেউই তার প্রাইভেট পার্টে হাত দিতে পারে না। এর ফলে সে সতর্ক হতে শিখবে।

কথা বলুন সহজ ভাবে
ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ শেখানোর সময় শিশুর সঙ্গে সহজ ভাষায় কথা বলুন। কোনো কঠিন ভাষায় বোঝাতে গেলে বিষয়টি তাদের কাছে আরো ভয়ের হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করাও ঠিক নয়। বরং দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ভেতরে বুঝিয়ে বলুন।

চিৎকার করতে শেখান
শিশুকে বলুন, যখনই কারো স্পর্শ শিশুর মধ্যে খারাপ লাগা অনুভব করাবে, তখন যেন সে চিৎকার করে। সে যেই হোক না কেন। এর মধ্যে হতে পারে আত্মীয়, পরিচিতজন, একেবারেই অচেনা কেউ অথবা তা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে স্পর্শ ভালো না লাগলে সে যেন চিৎকার করে প্রতিবাদ করে।

শিশুর ভরসা হয়ে উঠুন
শিশুর আস্থার জায়গাটি দখল করুন। সে যেন নির্দ্বিধায় আপনার উপর ভরসা করতে পারে তা খেয়াল রাখুন। তাতে যে কোনো ব্যাপারেই সে আপনাকে বলতে সংকোচবোধ করবে না। তাই সব সময় তার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করুন। যেন সে নির্ভয়ে সবকিছু আপনাকে বলতে পারে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে এমন কিছুর শিকার হলে শিক্ষককে যেন জানায়, তাও শেখান। গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হচ্ছে, শিশু যখনই কারো বিষয়ে অভিযোগ করবে, তার কথা অবহেলা করবেন না। কারণ শিশুরা এসব বিষয়ে সচারচর বানিয়ে বলে না।

আলোকিত রাঙামাটি